পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং পরিবহণ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ বছরের সমস্ত পুরানো গাড়ি বাতিল করতে হবে। এবার এইসব গাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য সরকার নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করতে চলেছে। স্ক্র্যাপেজ পলিসি নামে এই নিয়ম চালু হলে সরকার নির্ধারিত জায়গা থেকেই গাড়ি ভাঙতে হবে। আর তাহলেই পরিবহণ দফতর থেকে মিলবে বিশেষ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফি, ইত্যাদির ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে। এমনই নিয়ম চালু করতে চলেছে রাজ্য। এ নিয়েই আপত্তি তুলেছে বাস সিন্ডিকেটগুলি।
জানা গিয়েছে, পুরানো গাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য পরিবেশের দিকটি বিশেষভাবে নজরে রাখা হবে। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এই কাজ পরিচালিত হবে। তারজন্য লোকালয় থেকে অনেক দূরে এবং স্বাস্থ্যহানী হবে না এমন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত সরকার নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই গাড়ির মালিককে স্ক্র্যাপ করাতে হবে। গাড়ির মালিক অবশ্য টাকা পেয়ে যাবেন। তারপরও কেন আপত্তি?
এ নিয়ে সিটি সুবারবান বাস সার্ভিসেস-এর টিটো সাহা বলেন, আগে আমরা যে কোনও জায়গায় গাড়ি বিক্রি করার সুযোগ পেতাম, এখন সরকার নির্ধারিত জায়গা থেকেই তা করাতে হবে। এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা প্রদানের কথা বলেছে, যে টাকা আমরা পাব, কিন্তি কিভাবে তা উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের মনে হচ্ছে পুরানো গাড়ি স্ক্র্যাপ করানোর ক্ষেত্রে আমাদের আধিকার কাড়ছে রাজ্য সরকার। তাই আমরা সঠিক নীতি তৈরির দাবি তুলছি।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ঠিক করেছে ৩১ মার্চের মধ্যেই সব বাণিজ্যিক গড়িতে ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগাতে হবে। না হলে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, ফাইন করা হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। এখানেও আপত্তি অনেকের। বাস সিন্ডিকেটগুলির দাবি, সময় বাড়ানো হোক। একইসঙ্গে ১২-১৩ হাজার টাকা নয়, সরকার যন্ত্রের দাম ৬ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে বেঁধে দিক, যাকে কোম্পানিগুলি নিজেদের মতো করে দাম বসাতে না পারে। এ দিকে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আজ বিকালে ট্রান্সপোর্ট ডাইরেক্টরেটের অফিসে বৈঠক হবে। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা করবে সব পক্ষ।