পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিধানসভার ভোটের আগে দলীয় প্রচারে অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরায় এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ম্যারাথন তোপ দেগে বলেন মমতা বলেন, অভিষেক সুস্মিতার ওপরে এখানে হামলা চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল পতাকা লাগালে তা ছিড়ে ফেলা হয়েছে। অভিষেককে ভাগ্যিস বুলেট প্রুফ গাড়ি দিয়েছিল, না হলে বেঁচে ফিরত না। নির্বাচনের সময় এলেই ডবল ইঞ্চিন সরকার। আর ভোট মিটে গেলেই সব শেষ।
মমতা বলেন, বাংলায়-ত্রিপুরায় সর্ব ধর্ম সমন্বয়। তাহলে বাংলায় উন্নয়ন হলে, ত্রিপুরা বঞ্চিত হবে না কেন? বাংলায় উদ্বাস্তুরা জমির পাট্টা পেয়েছেন, ত্রিপুরায় এখনও কেউ পায়নি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, যারা ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে তাদের ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। রেশনটাও বন্ধ করে দিয়েছে, খাদ্যে ভর্তুকি কেড়ে নিয়েছে।
মমতা এদিন ত্রিপুরাবাসীর সামনে বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস না হলে, কোনদিন বাংলার উন্নয়ন হত না। আমাদের রাজ্যে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে চাকরি পেয়েছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে। বাংলায় মেডিক্যাল কলেজে নিখরচায় চিকিৎসায় ব্যবস্থা পাওয়া যাবে। ত্রিপুরায় ক্ষমতা আসলে এখানেও একাধিক উন্নয়ন হবে। ত্রিপুরায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউন করতে চাই। ত্রিপুরায় মাতাবাড়ি মন্দিরে বিগত কয়েক বছর হল কাজ হয়নি। বাংলায় স্টুডেন্ট কার্ড করে দেওয়া হয়েছ। বাংলায় দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দির, এমনকি ফুরফুরা শরিফেরও উন্নয়ন করা হয়েছে।
দুর্নীতি প্রশ্নে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেউ দু’একটা ভুল করলে, তারা শাস্তি পাবে।
মমতা ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে বলেন, শান্তি, উন্নয়ন, কর্ম সংস্থান বজায় রাখতে ত্রিপুরায় তৃণমূল চাই। আগে অত্যাচারী সিপিএম-এর সরকার ছিল এখানে। যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করে জিততে চাই। ঘাস মাড়ালে মৃত্যু হয় না। আবার বেঁচে ওঠে।
ত্রিপুরার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘যখন কংগ্রেস করতাম তখন ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াতাম।” ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার বেশভূষা, খাওয়া-দাওয়া, কথাবার্তা- সবই এক বলে উল্লেখ করেন তিনি।