পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কেশপুরের সভা থেকে দলের উদ্দেশে একাধিক বার্তা সহ দিল্লির কেন্দ্র সরকারকে একাধিক ইস্যুতে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পঞ্চায়ের নির্বাচনের আগে আয়োজিত সমাবেশ থেকে শনিবার অভিষেক বলেন, কেশপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলে থাকলে এত মানুষের ভিড় হত না। কেশপুরের মানুষের উচ্ছ্বাসের প্রশংসা করে অভিষেক বলেন, আপনাদের কেশপুরের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। উন্নয়নের হাত ধরে আমি সব ফেরত দেব। আমি যা বলি সব করে দেখাই।
দলের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, কোন প্রধান কি করছেন, অঞ্চল সভাপতি কি করছেন সব খবর আমার কাছে আছে। মানুষ তৃণমূলকে যেভাবে দেখতে চাইছে, আমরা সেইভাবেই দলকে প্রস্তুত করছি। সেটাই হবে নতুন তৃণমূল। তিন-চারজন নেতার রেষারেষির জন্য দল মাথা মত করবে না। একমাত্র জনতা-জনার্দনের কাছেই মাথা নত করবে তৃণমূল।
অভিষেক এদিন বলেন, মনে রাখবেন কোনও দাদার তল্পিবাহক হয়ে থাকলে টিকিট মিলবে না। করে কম্মে খাওয়ার দিন শেষ। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই টিকিট। পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, যারা ভেবেছেন প্রার্থী হয়ে আর কাজ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রত্যেক পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ হওয়ার বার্তা দেন অভিষেক।
আবাস তালিকায় নাম থাকা এক ব্যক্তিকে মঞ্চে ডেকে এনে আচমকাই অভিষেক বলতে থাকেন, একে দেখে কি মনে হয় চোর! আবাস তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি নিতে অস্বীকার করেছেন উনি। এমন সৎ ব্যক্তিই হবেন আগামীদিনে পঞ্চায়েতের মুখ। এদিন অভিষেক ওই ব্যক্তিকে বলেন, আপনার মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব আমার।
একইভাবে ভাঙা কুঁড়েঘরে থাকা পঞ্চায়ের সদস্য ও সদস্যাকে মঞ্চে ডেকে সততার বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, এরাও ফিরিয়েছেন আবাস যোজনার প্রস্তাব। অভিষেক বলেন, এদের দেখে তৃণমূল করি বলে গর্ব হয়।
অভিষেক বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, সিপিএম এর নেতারাই এখন বিজেপির জল্লাদ হয়ে গেছে। সমবায়ে রাম-বাম মডেল তাও তৃণমূলকে হারাতে পারেনি। কেন্দ্র সরকারের প্রতি তীব্র বিষোদগার করে অভিষেক বলেন, ১৭ লক্ষ পরিবারের টাকা আটকে রেখেছে। গেরুয়া জামা গায়ে দিয়ে সন্ত্রাসের দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছে। বাংলার মানুষকে চোর প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেশপুর থেকে আগামীদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার আহ্বান অভিষেকের।