নাজমুল সর্দার, দক্ষিণ দিনাজপুর : বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারনের জন্য ২০২৩-২৪ বর্ষে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রেল দফতর। এই খবরে খুশির হাওয়া জেলা ব্যাপি।যদিও এখন শুধু জমি জট কাটিয়ে উঠে এই রেলপথ সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে সাংসদ থেকে জেলার আমজনতা।
২০০৪ সালে দেশের রেলমানচিত্রে বালুরঘাট স্থান পায়। তৎকালীন রেল মন্ত্রী লালু প্রসাদের হাত ধরে বালুরঘাটে রেল যোগাযোগ শুরু হয়। যদিও আশির দশকে বরকত গনি খান রেল মন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের শিল্যান্যাস করা হয়েছিল। তারপর আর কাজ কিছুই এগোয় নি।পরে তৃণমুল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী রেলমন্ত্রী হয়ে এসেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে অগ্রনী ভুমিকা নেন। পরে ফের তার উদ্যোগেই বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারনের জন্য জমি অধিগ্রহনের সার্ভে থেকে বেশ কয়েকটি নদির উপর রেল ব্রীজের জন্য পিলার পর্যন্ত তৈরি শুরু হয় জোর কদমে। কিন্তু হঠাৎ কাজ আচমকা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর আত্রেয়ী নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেলেও কাজ এক চিলতেও এগোয় নি। যদিও এই রেলপথ সম্প্রসারনের জন্য জেলা ব্যাপি দাবি আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবছর।
অবশেষে গতবছর বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর লাগাতার রেলমন্ত্রকের কাছে দরবার করে ফের এই প্রকল্প শুরু করার ব্যবস্থ্যা করে। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহনের ব্যাপারে রেলের তরফে জেলায় এসে জেলা প্রশাসনের সাথে এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে। সেখানে অবশ্য সেই রাজ্যের জমি অধিগ্রহন নীতির কথা রেল কে জানিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।স্বেচ্ছায় যারা জমি দিতে চায় রেল নিজেরা তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থ্যা করলে তারপর প্রশাসন সে ব্যাপারে এগোবে।যদিও রেলের দাবি অনান্য রাজ্যে রেলের জন্য জমি অধিগ্রহন করে দেওয়ার নিয়ম সেই রাজ্য সরকারের।
এদিকে আজ বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট থেকে হিলি রেলপথ সম্প্রসারনের জন্য রেলের বরাদ্দ ১৯০ কোটি টাকা জানিয়ে বলেন এরপর আমরা আশা করব রাজ্য সরকার জমি জটের কারনে থমকে থাকা এই কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ করবে।