পুবের কলম প্রতিবেদক: জলাতঙ্কে কলকাতা তথা রাজ্যে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কিন্তু এর জন্য আমজনতার অসচেতনাকেই দায়ি করছেন। পরিসংখ্যান বলছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে র্যাবিস সংক্রামিত হয়ে বিগত পাঁচ বছরে কমপক্ষে ১৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ অনিমা হালদার দূরভাষে পুবের কলমের প্রতিবেদক কে জানান দেখুন, জলাতঙ্কের সংক্রমণের অনেক কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় ছোট শিশুদের পথ কুকুর বা বিড়াল আঁচড়ে কামড়ে দিল। শিশুটি তার অভিভাবকদের কাছে পুরো বিষয়টি গোপন করে গেল। পরবর্তী তে সে যখন জলাতঙ্কে আক্রান্ত হচ্ছে তখন আর কিছুই করার নেই।
সাপে কাটা রোগীর জন্য এখন শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। একটু সচেতন হলেই র্যাবিস বা অন্যান্য সংক্রমিত রোগে মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা বিভিন্ন ক্যাম্প করছি , বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও এই কাজে এগিয়ে আসছেন।
জলাতঙ্কের উপসর্গ একবার দেখা দিলে ১০০শতাংশ মৃত্যু নিশ্চিত। সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা কার্যত অসম্ভব। চিকিৎসকদের কথায় কেসস্টাডি করে দেখা গিয়েছে অনেকেই টিকার কোর্স সম্পূর্ণ করেন নি। বেশিরভাগ টিকাই নেননি। যার ফলশ্রুতি হচ্ছে অবধারিত মৃত্যু। চিকিৎসকরা আরও বলছেন রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আ্যন্টি র্যাবিস টিকার যোগান রয়েছে। যে কোন সরকারি হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলেই বিনামূল্যে টিকা পাওয়া সম্ভব।
চিকিৎসকদের একাংশের কথায় সাপে কাটা রোগীকেও সময়মত আ্যন্টি ভেনাম দিলে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। সেরকম টিটেনাস বা কুকুর বা কোন মাংশাসি প্রাণীর দংশনে প্রথমেই দরকার জলাতঙ্কের প্রতিষেধক। এই সহজ কথাটি না বুঝলে বাড়তেই থাকবে মৃতের সংখ্যা। ডাক্তারবাবুদেরও তখন অসহায় ভাবে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা।