এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: আজ শস্য গোলা বর্ধমানে পা রাখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা জুড়ে তৎপরতা তুঙ্গে।জানা গেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি সরকারি প্রকল্পের উপভক্তাদের সহায়তা প্রদান করবেন আজকের গোদার মাঠের মঞ্চ থেকে । এদিকে বর্ধমান জেলার মানুষ তাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে কাছে পেয়ে কী বলতে চাইছেন, একটু শোনা যাক। বর্ধমান দুই ব্লকের বেশ কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা চাইছেন একশ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু হোক। সেই সঙ্গে যে সমস্ত গরিব মানুষ আবাস যোজনার ঘর থেকে বঞ্চিত, তারা যাতে দ্রুত পায় তার ব্যবস্থা করা হোক। তাছাড়া, আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাতে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে গরিব হলেও অনেকেই আবাস যোজনার ঘর হতে বঞ্চিত হতে পারে। তাই, আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম মাপকাঠি হোক আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি। যদিও এই জেলার মানুষ খুশি লক্ষ্মীর ভান্ডার ,বিধবা ভাতা, মানবিক ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা পেয়ে। কৃষক মনিরুল হক, আসাদুল্লাহ,সত্যজিৎ দে দের আর্জি, ভূ গর্ভস্থ পানীয় জলের অপচয় কম করে মাঠে জল সরবরাহের জন্য মেন্ খাল থেকে নালার ব্যবস্থা ও খাল পারাপারের জন্য ছোট ছোট কালভার্ট চালু করলে উপকৃত হই।
অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের দাবি, এই জেলার বিরাট ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। বহু মুসলিম হেরিটেজ মসজিদ তথা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অবিলম্বে সেগুলিকে সংরক্ষিত করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক। তাছাড়া, রয়েছে বহু ওয়াকফ সম্পত্তি। সেগুলিকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কাজে লাগানো এবং যেগুলো আছে তা গুরুত্ব দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা। জানা গেছে, এই জেলায় এখনও প্রয়োজন অনেক সংখ্যালঘু হোস্টেল তথা আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারা দাবি জানিয়েছেন, ওয়াকফ্ সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে চালু হোক চাকরী-বাকরি সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আবাসিক প্রশিক্ষণ। সেই সাথে বিনা খরচায় চিকিৎসা ব্যবস্থাও। শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ এহসানুল হক, আব্দুল মুজিদ প্রমুখের দাবি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা থাকলেও জেলার কোন একটি কলেজেও এখনো পর্যন্ত আরবী বিষয়ে গঠন-পাঠনের ব্যবস্থা নেই। অবিলম্বে দু তিনটি কলেজে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের পাঠ চালু হোক। জানা গেছে, এই জেলায় প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আরবি পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি, বেশ কিছু স্কুলেও আরবি ভাষা পড়ানো হয়। তাঁদের আশঙ্কা,কলেজে আরবি পড়ার ব্যবস্থা না থাকলে, অবিলম্বে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা সাহিত্যের পাঠ যেমন বন্ধ হয়ে যাবে, তেমনি বিদ্যালয় স্তরেও ব্যহত হবে আরবি ভাষার গুরুত্ব।