উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেএে স্কুলের অবদান অনেক।আর বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও মাদ্রাসা গুলি থেকে শিক্ষার বিস্তার ঘটে।রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্কুল ও মাদ্রাসা গুলোতে স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে বর্তমানে।জয়নগর ২ ব্লকের বকুলতলা থানা এলাকার একমাত্র প্রাচীন মুসলিমদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার গরীব ও সাধারন শিক্ষার্থীদের অন্তরে জ্ঞানের আলো প্রজ্জ্বলনে ব্রতী হয়ে বহুবিধ ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এলাকায় কয়েকজন সহৃদয় মানুষের জমিদান ও এগিয়ে আসার মধ্যে দিয়ে পথ চলা শুরু করে। আর দেখতে দেখতে সেই বাগমারী ইসলামিয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন শুরু করলো সোমবার স্কুল প্রাঙ্গনে। দুদিনের এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় এদিন স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে।এদিন প্রভাত ফেরী,জাতীয় পতাকা উওোলন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন,বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দুদিনের এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়নগর লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, জয়নগর ২ নং বিডিও সৌরভ মাজি,ডি পিএস সির চেয়ারম্যান অজিত কুমার নায়েক,জেলা পরিষদ সদস্য তথা এই স্কুলের শিক্ষক খান জিয়াউল হক, জয়নগর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শান্তি গোপাল দাস, শিক্ষানুরাগী গোপাল নস্কর,স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব, পরিচালন কমিটির সভাপতি মোজাফফর সেখ, সম্পাদক হাসান সরদারটি এস সনাতন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন ঘটক সহ বেলে দূর্গানগর, জামতলা ভগবান চন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ একাধিক অতিথি বৃন্দ।এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংসদ বলেন,একটা শিশুর জীবন গড়ার মূল কারিগর শিক্ষক, আর স্কুল হলো তার মাধ্যম। আর সেই মাধ্যম ৫০ টি বছর কাটিয়ে ফেলা কম কস্টের নয়।এই স্কুল থেকে অনেক কৃতিরা নিজ নিজ ক্ষেএে আজ সুপ্রতিষ্ঠিত।আর সেই ধারা বজায় রেখে এগিয়ে চলুক সেটাই আমি চাইবো।জয়নগর ২ নং বিডিও সৌরভ মাজি এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।এদিন সাংসদ প্রতিমা মন্ডল তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থ কেনা ন্যাপকিন ভেনডিং মেশিন ও জেলা পরিষদের অর্থে নির্মিত এই মাদ্রাসা স্কুলের তৃতীয় তলের শেডের উদ্বোধন করে জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল বলেন, ঋতুস্রাব চলাকালীন স্কুলের ছাএীরা স্কুলে আসতো না, ভয়ে লজ্জায় কারুর কাছে ন্যাপকিনের কথা বলতে পারতো না। তাই ৫টাকার বিনিময়ে স্কুল চলাকালীন দুটি করে ন্যাপকিন তাঁরা এই মেশিনের মাধ্যমে কিনে ব্যবহার করতে পারবে। এবং ব্যবহার করার পর তা নস্ট ও স্কুলে রাখা নিদিষ্ট জায়গায় ফেলতে পারবে। আর এই মেশিন চালু হওয়ায় স্কুল ছুট ও কমে যাবে। তাছাড়া আমফানে ভেঙে পড়া স্কুলের তৃতীয় তলের শেডের ব্যবস্থা করা হয়। আর এদিন এই ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন পেয়ে খুশি স্কুলের ছাএীরা।তাঁরা বলেন,আমাদের আর ঋতুস্রাবের সময়ে স্কুল কামাই করতে হবে না। এর জন্য সাংসদকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের কথা ভাবার জন্য।সাংসদ প্রতিমা মন্ডল স্কুল কমিটির করা দুটি প্রস্তাব মুক্ত মঞ্চ ও ল্যাবটেরি -গ্রন্থাগার করার অর্থ অনুমোদন করার চেষ্টা করবেন বলে ও জানালেন এদিনের অনুষ্ঠানে।এদিনের এই অনুষ্ঠানে স্কুল ছাএ ছাএীরা নাচ, গান, নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।