শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: গত ১১ সেপ্টেম্বর মালবাজারে সভা করতে এসে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মাল বাজারে সভা মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য চা বাগানগুলির মানুষের নানান সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন সেই সময়ের মধ্যে যদি কেন্দ্রীয় সরকার চা বাগানের মানুষের কথা না ভাবে তবে তিনি বিজেপির এমএলএ এমপি মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে ধরনায় বসা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন।
সেইমতো শুক্রবার সকাল থেকে বানাহাটের লক্ষীপাড়া চা বাগানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বাড়ির সামনে চার দফা দাবীতে অবস্থান বিক্ষোভে বসলো তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন।
তৃনমূল শ্রমিক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার নেত্রীত্বে ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে জন বার্লার বাড়ির সামনে শুক্রবার সকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
৪ দফা দাবী :-
১) গত বাজেটে চা শ্রমিক দের বরাদ্দ হওয়া ১০০০ কোটি টাকা কোথায় গেলো কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও।
২) পি এফ দুর্নীতি বন্দ করে অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের অবিলম্বে পি এফ এর টাকা প্রদান করতে হবে।
৩) চা শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৫৮ বদলে ৬০ করতে হবে।
৪) চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ পুনরায় চালু করতে হবে।
আইএনটিটিইউসি জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া জানিয়েছে, আগামী ১০দিন ধরে চলবে এই অবস্থান বিক্ষোভ। ২৩ টি চা বাগানের শ্রমিকরা পালা করে এই বিক্ষোভে সামিল হবে। এদিন লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের কর্মী ও সমর্থকরা শ্রমিকরা বিক্ষোভে বসেছে আগামীকাল থেকে বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা এখানে আসবে।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা বলেন,” পি এফ নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে।আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তবে পিএফ ডিপার্টমেন্টে নেই। সেন্ট্রাল গর্ভমেন্ট পি এফ নিয়ে বাগানের বিরুদ্ধে কেস করেছে।চা বাগানের শ্রমিকদের পিএফ কাটছে তবে জমা হচ্ছে না। তাই আমার বাড়িতে ধর্না না দিয়ে থানায় ধর্না দেওয়া দরকার।তাই আগামীদিনে আমরা পুলিশকে ঘেরাও করব।”