ওবাইদুল্লা লস্কর, গঙ্গাসাগর: মঙ্গলবার সরকারি ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। করোনা মহামারির আতঙ্ক কাটিয়ে দু বছর বাদে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় উপছে পড়া ভিড়। হবে বলে মনে করছে । এই বিপুল পরিমাণ ভিড় সামলাতে একদিকে যেমন তৎপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
তেমনি মেলা প্রাঙ্গনে এই বিপুল পরিমাণ মানুষের মধ্যে নানাধরনের সচেতনতার বার্তা দিতেও যথেষ্ট উদ্যোগী প্রশাসন। এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় তাই বাঘ বাঁচানোর সচেতন বার্তা দিতে উদ্যোগ নিয়েছে ২৪ পরগনা বনবিভাগ।
এর আগে বিধানসভা ভোটের ম্যাসকট করা হয়েছিল বাঘকে। সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ‘ম্যাসকট’ বাঘুকে নিয়ে ভোটের প্রচার করেছিল জেলা প্রশাসন। এবার একজোড়া পূর্ণ বাঘকে গঙ্গাসাগর মেলার মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের রক্ষার বার্তা দিয়ে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই সাগর মেলা প্রাঙ্গনের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরাচ্ছে এই দুটি বাঘ। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সাগরের বেলাভূমিতে।
এ বাঘের নখ নেই, দাত নেই, কাউকে সে কামড়ায়ও না আবার কেবল হালুম হালুম করে মুখভারও করে না। এই বাঘ শুধু চারিদিকে ঘুরে ঘুরে মেলায় আসা পূণ্যার্থীদেরকে বাঘ রক্ষার জন্য সচেতন করছে। এই দুই রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে কাছে পেয়ে তাই ভক্ত এবং পর্যটকরা যথেষ্ট খুশি। অনেকেতো বাঘের সঙ্গে সেলফি তুলতেও মেতে ওঠেন।
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় দুই ‘ছিনাথ বহুরূপী’ রীতিমতো সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন উদ্বোধনের দিন থেকেই। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ এই ‘বাঘরূপী’। বাঘের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মনোরঞ্জন করতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগ এই দুই ‘ছিনাথ বহুরূপী’দের গঙ্গাসাগরে বেলাভূমিতে আবির্ভাব ঘটিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কপিলভূমিও এক সময় ম্যানগ্রোভ অধ্যুষিত ‘বাঘ-ভূমি’ ছিল। অতীতের স্মৃতি স্মরণও এই মেলায় বাঘেদের আগমনের আরেক উদ্দেশ্য বলে দাবি বন দফতরের।