ইনামুল হক বসিরহাট: বসিরহাটের অন্যতম প্রাচীন গঞ্জ বলে পরিচিত ধান্য কুড়িয়া আগেই হেরিটেজের তকমা পেলেও নতুন করে ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলকে রাজ্য সরকার হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। এই এলাকার সঙ্গে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের যোগাযোগ বহু প্রাচীন। একাধিক পড়ুয়া এই ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুল থেকে পাশ করে রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।
১৩৮ বছরের এই স্কুল আজও স্বমহিমায় ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও শিক্ষায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। শিক্ষক-শিক্ষিকা ২১ জন। এক সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এই স্কুল প্রাঙ্গনে এসেছিলেন। বারো বিঘা জমির উপরে এই স্কুল প্রাঙ্গণে রয়েছে। বহু মনীষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আজও দেশ তথা বিদেশে সুনামের সঙ্গে কর্মজীবনের কাজ করছেন। কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউবা চিকিৎসক, কেউ গবেষক। বছর ৭৫ এর শক্তিপদ চ্যাটার্জি, বাড়ি কচুয়া গ্রামে, পেশায় একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার, এখন থাকেন বেঙ্গালুরু।
তিনি চান দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী প্রজন্মে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত যাতে না হয় তার জন্য নিজের জমানো অর্থ থেকে স্কুল উন্নয়ন ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য প্রতিবছরে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাশাপাশি এককালীন ১০ লক্ষ টাকার চেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির আলমের হাতে তুলে দেন। এই স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া শক্তিপদ চ্যাটার্জি সহ তার পাঁচ ভাইবোন তারা স্কুল উন্নয়নের খাতে মেধাবীদের আগামী প্রজন্মের শিক্ষার আলোয় নতুন দিশা দেখাতে হাত বাড়িয়েছেন স্কুল পরিকাঠামো উন্নয়ন ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী দিনে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে সব রকম সাহায্য করে যাবেন। আগামী দিনে স্কুলের উন্নয়নের প্রয়োজনে আরও বিভিন্নরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।