পুবের কলম প্রতিবেদক: চলতি মাসের শেষে এবার কেষ্টগড়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনো পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, এটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক সফর হতে চলেছে। তবে এই সফরে রাজনৈতিক কিছু কর্মসূচিতেও যোগদান করতে পারেন তিনি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আপডেট করা হতে পারে। এখনো পর্যন্ত নবান্ন সূত্রে যতটুকু খবর, তাতে আগামী ৩০ জানুয়ারি বীরভূম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফর ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একদিকে কেষ্টহীন বীরভূমে অতীতের সাংগঠনিক শক্তি ধরে রাখা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে ডেউচা পাচামিকে সামনে রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বীরভূমবাসীকে যে বিপুল কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই পথকে সুগম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর।
যতদূর জানা যাচ্ছে ৩০ থেকে ১ ফেব্রুয়ারি তিনদিন তিনি থাকবেন বীরভূমে। এখনো পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ৩০ জানুয়ারি তার বীরভূম পৌঁছানোর কথা। এরপর ৩১ জানুয়ারি বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পহেলা ফেব্রুয়ারি তিনি সরকারি পরিষেবা প্রদানের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন বলে খবর। এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরে দেউচা পাঁচামী কয়লা খনি প্রকল্প সকলের নজরে থাকবে। এবারের সফর থেকেই দেউচা পাচামি প্রকল্পের জন্য জমি দাতাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র সহ একাধিক সুযোগ-সুবিধা তুলে দেওয়া হতে পারে।
এর পাশাপাশি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাও তাদের দেওয়া হতে পারে বলেই খবর। যেহেতু এবার বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান করবেন কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি তাই নবান্নের তরফ থেকে শুধু প্রশাসনিক বৈঠক এবং পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানের কথাই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এবং সেই মতোই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে আলাদা করে যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নাও নেন তাও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই সফর জেলার নেতা কর্মীদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এই সমস্ত সভা থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ স্থানীয় নেতাদের দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সে কারণেই তার বীরভূম সফরের দিকে নজর অবশ্যই থাকবে রাজ্যবাসীর।