কৌশিক সালুই বীরভূম :- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের টেস্টিং বোরিং এর কাজ। কোল ইন্ডিয়া সহযোগী সংস্থা এমইসিএল বিগত ছয় মাস ধরে ভূগর্ভে কয়লার স্থিতি নিরীক্ষণের কাজটি করছিল। জমি কিনে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে বসবাসের পুনর্বাসন শুরু করতে চাইছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের দ্বিতীয় পর্যায়ের ডেউচা পাচামি এলাকার ৬৭ টি জায়গায় কয়লার স্থিতি নিরীক্ষণ এর কাজ এ দিন শেষ হলো।প্রথম পর্যায়ের দেওয়ানগঞ্জ হরিণসীঙ্গা ব্লকের চৌদ্দটি টেস্টিং বোরিং আগেই হয়ে গিয়েছিল। বিগত বছরের ১৪ ই জুলাই কেন্দ্র পাহাড়ি গ্রামে প্রথম টেস্টিং বোরিং শুরু হয়। এদিন সালডাঙাতে শেষ বোরিং এর কাজটি হয়। কয়লার স্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় পিডিসিএল দ্রুত জমি কিনে এবং চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ করে বসবাসের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে। প্রথমেই পুনর্বাসন কলোনি নির্মাণ করে দেওয়ার পর প্রকল্প এলাকার বসবাসকারীদের সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ধীরে ধীরে এলাকা ফাঁকা করে দিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। সমস্ত প্রক্রিয়া খুব দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পুনর্বাসন প্রকল্পে ইতিমধ্যেই প্রায় 1 হাজার জনকে পুলিশে এবং গ্রুপ ডি তে নিয়োগ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকিদের নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত চলছে। প্রথম দিকে ডেউচা-পাচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলে কিছুটা স্থানীয় বিরোধীতা থাকলেও জমি কিনে চাকরি নিয়োগ পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। প্রকল্প বিরোধীদের সংখ্যা এখন কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। প্রকল্প এলাকার সিংহ ভাগ মানুষজন তাদের জমি ঘরবাড়ি প্রকল্পে জন্য দেওয়ার সম্মতি ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে দিয়ে দিয়েছে। জমি জায়গার নথি যাচাই করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি কিনে চাকরি নিয়োগ পত্রের প্রক্রিয়াও চলছে জোর কদমে। এ প্রকল্পটি এলাকাটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম কয়লা শিল্পাঞ্চল হতে চলেছে। কয়েক লক্ষাধিক মানুষ এই প্রকল্পের ফলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজের সুযোগ পাবে। প্রশাসনের দাবি আগামী ১০০ বছর কয়লার যোগান নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। মহম্মদ বাজার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিষেক মিশ্র বলেন,” এদিন কয়লার স্থিতি নিরীক্ষণের জন্য যে টেস্টিং বোরিং চলছিল তার কাজ শেষ হলো। জমি কিনে চাকরির নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে দ্রুত গতিতে। বসবাসের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াটি খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে”।