পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বাংলায় বার বার হামলার শিকার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এমত অবস্থায় নিরাপত্তা ও হামলা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে জিআরপি। বুধবার রেল আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিলিগুড়ি জিআরপির সুপার এস সেলভামুরুগান। সুরক্ষায় বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
জিআরপির সুপার এস সেলভামুরুগান জানিয়েছেন, রেলের তরফে প্রতিটি স্টেশন, যেখান দিয়ে এই ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস যাবে, সেই সমস্ত স্টেশনে বিশেষ ঘোষণার ব্যবস্থা করা হবে। মানুষকে সচেতন করতেই এই ব্যবস্থা। প্ল্যাটফর্মগুলোতে মাইকে ঘোষণা করা হবে’ এই ট্রেন জাতীয় সম্পদ’, তাই রক্ষা করা সকলেরই দায়িত্ব। যে স্টেশনগুলিতে ট্রেন থামবে না, সেখানেও এই প্রচার করা হবে। এছাড়াও, ট্রেনটি যেসব এলাকা দিয়ে যাবে, সেই রেললাইন সংলগ্ন জনবসতিতেও এই প্রচার চালানো হবে।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আরপিএফ-কে দিয়ে সেনসেশন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে লিফলেটও বিলি করা হবে। এ বার থেকে ট্রেনে আরপিএফের পাশাপাশি জিআরপি’ও থাকবে। সেলভামুরুগান বলেন, ‘‘যে সব স্টেশনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সেখানে স্থানীয় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের সাহায্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে ‘ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানেরই পরিণতি এই হামলা। এটা পরিকল্পিত হামলা।
অন্যদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পর পর দুই দিন ইট ছোড়া নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এদিন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কে বা কারা এই হামলা ঘটিয়েছে তার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া উচিৎ। অন্যদিকে তাঁর কথা উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। তারাই তদন্ত করতে পারবে।
প্রসঙ্গত,শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সোমবারই মালদায় হাওড়াগামী ডাউন ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে ঢিল পাথর ছোড়ে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। সেই পাথরবৃষ্টির ফলে কাঁচে ফাটল ধরেছে ঝাঁ চকচকে নতুন ট্রেনের জানলার কাচে। এই ঘটনার আর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের আক্রমণ হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উপর। এবার হাওড়া থেকে এনজেপি ঢোকার সময় পাথরবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি কামরা।