পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে বড়সড় চমক শাসকদলের। সোমবার নজরুল মঞ্চে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’, ‘দিদির দূত’, কর্মসূচীর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সুব্রত বক্সী।
মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচীর সূচনা করে বলেন, দুয়ারে সরকারের মতো মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ৬০ দিনের এই কর্মসূচী শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তৃণমূলের ৩ লক্ষ কর্মী ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচীর প্রধান লক্ষ্য সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলি রাজ্যের মানুষ ঠিক মতো পাচ্ছেন কিনা। এদিন মমতা বলেন, আমি ভোট পাওয়ার আশায় কোনও কাজ করি না। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজ করছে তৃণমূল। কে কি বলল তাতে কিছু আসে যায়। সরকার যে রকম কাজ করছিল সেই রকমই কাজ করবে।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে এই রাজ্যে যত কুকথা হয়, তা অন্য কোথাও হয় না। আমরা যখন বিরোধী ছিলাম তখনও ধবংসাত্মক কাজ করিনি। ৩৫০ নেতা গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাস করবেন। কাজ খতিয়ে দেখবেন।
রাজ্যস্তরের নেতারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনবেন। রাজ্যে স্তরের নেতারা যাওয়ার পর স্থানীয় নেতারা নজর রাখবেন। সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা, তা দেখা হবে এক কর্মসূচীর অন্যতম লক্ষ্য।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, নীচের স্তরে ফাইল আটকে থাকে, ফলে এই সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে। এখন কাজের চাপে মানুষে মানুষে দেখা হয় না, ফলে এই ধরনের কর্মসূচী মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে। তারাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা জানাতে পারবে। দুয়ারে সরকারের মতো মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে যাবে, এই নেতাকর্মীরা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমি চাই বাংলা সারাবিশ্বের দরবারে পৌঁছে যাক। বাংলাই আগামীদিনে মানুষকে দিশা দেখাবে। দুয়ারে সরকারের কাজ তিন চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২৫ বছরে পা দিয়েছে তৃণমূল। কত মানুষ শুধু লড়াই করে গিয়েছেন। কখন দিন হয়েছে, কখন রাত হয়েছে আমরা বুঝতে পারিনি। রাস্তার পর রাস্তার হেঁটে, আন্দোলনের পর আন্দোলন হয়েছে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম তো অনেক পরে। ২০০৮ সালের ব্যাপার। কান্দুয়া আর আমতার হাত কাটার ঘটনা। দাঙ্গার ঘটনা। তিরানব্বিশ সালে ২১ জুলাইয়ের ঘটনা। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামটি আমার দেওয়া নয়। নামটি আমাদের আইটি টিমের দেওয়া’।