পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিজেপির পছন্দের কিছু ইস্যু রয়েছে। হিন্দুত্ববাদী দল হিসাবে নিজেদের পরিচয় পাকা করতে বহু বিজেপি নেতা কুৎসা, অপপ্রচার ও বিদ্বেষকে হাতিয়ার করে। হিন্দুদের উন্নয়নের চেয়ে তাদের কাছে বরাবর গুরুত্ব পেয়েছে মুসলিম আবেগ আহত হয় এমন ইস্যু। ইউপি, অসমের পর মধ্যপ্রদেশে তাই মাদ্রাসা নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করলেন সে রাজ্যের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।
রবিবার তিনি বলেন, কিছু মাদ্রাসায় আপত্তিকর বিষয় পড়ানো হয়। এই মাদ্রাসাগুলি পড়ুয়াদের ঠিক কী পড়াচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোন মাদ্রাসা আপত্তিকর বিষয় পড়াচ্ছে তা অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করতে পারেননি তিনি।
এমনিতেই বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য গেরুয়া বিদ্বেষীদের প্রিয়পাত্র নরত্তম মিশ্র। আপত্তিকর যে বিষয়ের কথা আপনি বলছেন, তা কি নিজের চোখে দেখেছেন? এর জবাবে ঢোক গিলে নরত্তম বলেন, ‘আমি এক পলক দেখেছি। তবে জেলা শাসকদের বলব, যাতে এই মাদ্রাসায় কি কি পড়ানো হচ্ছে তা ভালোভাবে দেখা হয়।’
কোন কোন মাদ্রাসা এমন আপত্তিকর বিষয় পড়াচ্ছে তাও বলতে পারেনি নরত্তম। যার ফলে অনেকেই বলেছেন, কেবল বিদ্বেষীদের খুশি করতেই নরত্তম এমন হাওয়া তুলেছেন। সে কারণেই তিনি কোনও মাদ্রাসার নাম উল্লেখ করতে পারেননি। কারণ অভিযোগটাই কাল্পনিক। যদি সত্যি তাতে সামান্যতম বাস্তব’টা থাকত তাহলে বিজেপি ছেড়ে কথা বলত না।
চলতি বছরের আগস্টে, মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর বলেছিলেন, অবৈধভাবে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলি মানব পাচারের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। তার তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু সেবারও তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই অভিযোগ করে বিদ্বেষী ও অপপ্রচার বাহিনীকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।