পুবের কলম প্রতিবেদক: শহরে এখন চাহিদা বেড়েছে ফ্ল্যাটের। সাধ্যের মধ্যে অল্প জায়গার মধ্যে সাজানো গোছানো সংসারে অনেকেই এখন আগ্রহী। কিন্তু ফ্ল্যাট ব্যবস্থায় যেমন অনেক সুবিধা হয়েছে, তেমনই বিস্তর হয়রানিও পোহাতে হয়ে থাকে নাগরিকদের। তার মধ্যে অন্যতম উপরতলার বাথরুম থেকে জল চুঁইয়ে পড়ার সমস্যা।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ইচ্ছে মতো জায়গায় বাথরুম তৈরি করা হচ্ছে, এর ফলে নিচের তোলায় যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদের থাকাই দায় হয়ে উঠছে। এই সমস্যা সমাধানে ফ্ল্যাট মালিকদের উদ্দেশ্যে চরম হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পুরসভার নিয়ম মেনে বাথরুম না বানালে তা ভেঙে দেওয়া হবে হবে সাফ জানিয়েছেন মেয়র।
শহরের ফ্ল্যাটগুলো থেকে বাথরুম সমস্যা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জমা পড়ছে কলকাতা পুরসভার কাছে। সম্প্রতি প্রসঙ্গটি পুরসভার অধিবেশনে তুলে সমস্যা সমাধানে প্রস্তাব রাখেন ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গাঙ্গুলী।
এ প্রসঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বেশ কিছু ফ্ল্যাট থেকেই বাথরুম লিকেজের সমস্যা নিয়ে নাগরিকরা তাঁর সাহায্য চেয়েছেন। তবে বারংবার বলা সত্বেও সদিচ্ছার অভাবে উপরের তলে বসবাসকারী ফ্ল্যাটটির অধিবাসীরা সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছেন না। সুনির্দিষ্ট কোনও আইন না থাকায় পুরসভার অধিকারিকরাও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না।
এই সমস্যা সমাধানে রূপক গাঙ্গু্লি প্রস্তাব রাখেন যে, ‘মানুষের স্বাস্থ্য সম্মতভাবে বসবাসের অধিকার সুনির্দিষ্ট করতে, কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করুক।’
কাউন্সিলর রূপক গাঙ্গুলির এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আসছে। ফ্ল্যাটে নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জন্য অনেকেই গাফিলতি দেখিয়ে সেগুলো ঠিক করেন না। তাই নিয়ম করা হচ্ছে যে বাথরুমের উপরেই বাথরুম বানাতে হবে। এই নিয়ম না মানা হলে কলকাতা পুরসভা অ্যাক্ট ৪০১-এর ধারা অনুযায়ী ফ্ল্যাট মালিককে নোটিস দিয়ে সেই বাথরুম ভেঙে দেবে পুরসভা।