পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু নিয়ে রাজ্যে চাপান-উতোর অব্যাহত। গতকালই জানাজার পরে লালন শেখের দেহ দাফন করা হয়। লালনের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের শাস্তির দাবিতে গতকালও রামপুরহাটের সিবিআই-য়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে চলে উত্তেজনা। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সরিয়ে দেওয়া সহ ক্যাম্প খালি করে দেওয়া হয়। লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডির নজরে সিবিআইয়ের ক্যাম্পের বাথরুম।
কারণ এখান থেকেই উদ্ধার লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। এছাড়া ইনভেস্টিগেশন রুমও রয়েছে। সেখান থেকে সংগ্রহ করা হবে নমুনা। নজরে রয়েছে অন্যান্য ঘরও বলে জানা গিয়েছে। এই সমস্ত ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলবে। নেওয়া হবে ফিঙ্গার প্রিন্ট । ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলেই সিআইডি সূত্রে খবর।
ফরেন্সিক সূত্রে খবর, লালনের ওজন ছিল ৬৫ কেজি। সম ওজনের বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ যে শাওয়ার পাইপে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লালনকে, সেই পাইপের ভার নেওয়ার ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও সেই অংশ আরও ভালো ভাবে পরীক্ষা করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। বাথরুমে থাকা শাওয়ার পাইপ থেকে মাটির মধ্যে ব্যবধান ৬.৫ ফুট। লালনের উচ্চতা ৫.৫ ফুট। এই মাপ নিয়েও বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষা চালানো হবে।
বাথরুমের ভিতরের অংশেও আরও বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখবেন তারা। ইতিমধ্যে তাদের দাবি, এই ক্যাম্পের ভিতরে কোনও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেই। সেক্ষেত্রে ওই দিন যারা কর্তব্যরত ছিলেন তাদের বয়ান রেকর্ডও করা হবে। যে গামছা লাগানো অবস্থায় লালনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হবে। লালনের পোশাক পাঠানো হবে পরীক্ষায়। দেখা হবে বাথরুমের ছিটকিনি বা লক। বুধবারই ফরেন্সিকের তরফে বাথরুমে থাকা সামগ্রী খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।