পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দাফন করা হল লালন শেখের দেহ। ধর্মীয় অনুষ্ঠান মেনে আজ জানাজার পরে দাফন করা হল লালন শেখের দেহ। উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের শাস্তির দাবিতে অনড় পরিবার। এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প খালি করা হল। অফিস থেকে সরানো হল কেস ডায়েরি।
বগটুই কাণ্ডে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে গামছায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হয় লালন শেখের দেহ। সিবিআইয়ের দাবি আত্মহত্যা করেছে লালন শেখ। এদিকে পরিবারের দাবি সিবিআইয়ের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে লালনের। পরিবারের তরফে সিবিআইয়ের চরম শাস্তি জানিয়ে ফাঁসির দাবি তোলা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর ও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
রামপুরহাটে হওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ঝোলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলেই সূত্র মারফৎ খবর। সোমবার বিকেলে ৪টে ৫৫ মিনিট নাগাদ রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ‘পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং’ অবস্থায় পাওয়া যায় লালন শেখকে। মঙ্গলবার পরে রামপুরহাট হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। গোটা ভিডিওগ্রাফি করা হয়।
সিবিআই হেফাজতে মৃত লালনের পরিবার প্রথমে দেহ নেবে না বলে জানায়। মঙ্গলবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি জানান, যতক্ষণ না অভিযুক্ত সিবিআই কর্তারা গ্রেফতার হচ্ছে ততক্ষণ তারা দেহ নেবেন না। পরে সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভার সিআইডি নেওয়ার পর এই ঘটনায় পরিবর্তন আসে। বুধবার সকালে লালনের দেহ নিতে রাজি হয় পরিবার।