শুভজিৎ দেবনাথ,গয়েরকাটা: বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় যখন তৃণমূলের ভাঙ্গনে আস্থা হারাচ্ছে নিচু তলার কর্মীরা, সেই সময় তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে আসরে নামলো মহিলারা। হাতিয়ার রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আর তাতেই সাফল্য! মহিলাদের হানায় ঝরলো পদ্মের পাপড়ি! বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুলে যোগদান শতাধিক মহিলার। যদিও নাটকীয় যোগদান বলে কটাক্ষ বাম ও বিজেপির।নিচু তলার কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতেই প্রচারে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। দাবি বিজেপির।
সোমবার রাতে বানারহাটের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধীরেন দোকান ১৪/২০১ নং বুথে এলাকার বিভিন্ন দল থেকে শতাধিক মহিলা কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন বলেই দাবি ঘাসফুল নেতাদের। উপস্থিত ছিলেন সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা অঞ্চল সভাপতি আলেফা খাতুন , তৃণমূলের সহ অঞ্চল সভাপতি সাইরুল ইসলাম , এলাকার তৃণমূল নেতা গোপাল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য মহিলা নেতৃত্বরা। তাদের হাত ধরেই এই দল বলদ ঘটে।
তৃণমূল মহিলা সংগঠনের অঞ্চল সভাপতি আলেফা খাতুন জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ভাওতাবাজির ওপর অতিষ্ট হয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের উপর আস্থা রেখেই শতাধিক মহিলা কর্মী সমর্থক বিজেপি ও সিপিআই(এম) ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। প্রত্যেকেই একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের বার্তা বুথে বুথে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।
যদিও এদিনের যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির ধূপগুড়ি উত্তর – পূর্ব মন্ডল সভাপতি কৌশিক নন্দী বলেন, যেভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে তৃণমূল। তাই কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবার মহিলাদের প্রচারে নামিয়ে প্রচারের আলোয় আশায় নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন তাতেই নিট ফল শূন্য হবে। নিজেরাই নিজেদের পুরনো কর্মীদের যোগদান করিয়ে প্রচারে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ওপর দিকে সিপিআইএম নেতা বিরাজ সরকারের বলেন, তৃণমূল দলের পুরুষেরা হয়ত কাটমানি খেতে খেতে দলের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে, তাই দু – একজন মহিলাদেরকে নামিয়ে নাটক করাচ্ছে। সিপিআই(এম) থেকে যদি একও যোগদান করে থাকে তাহলে তাদের তালিকা প্রকাশ করুক। খুব শীঘ্রই তৃণমূল থেকে আরও কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থকরা আমাদের দলে যোগদান করবে।
ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবারে মহিলাদের উপরেই যে গ্রামগঞ্জে আস্থা রাখছে তৃণমূল এ দিনের জমিদার থেকে কার্যত এমন ইঙ্গিত বলা যেতেই পারে।