পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সাইলেন্স জোনে অযথা হর্ন বাজাচ্ছে গাড়ির চালকেরা। অনেকেই মনে করেন, গাড়ির ড্রাইভিং করার সময় ড্রাইভাররা কু-অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে যেখানে সেখানে গাড়ির তীব্র হর্ন বাজানোর ফলে ভয়ংকর শব্দ দূষণ তৈরি করছে।
এই নিয়ে শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবার নানাভাবে পদক্ষেপ নিলেও সচেতনতা বাড়েনি। ২২০,মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টে হর্ন বাজানোর জন্য ট্রাফিক মামলা করে। আগে এই মামলায় ফাইন ছিল ১০০ টাকা। এখন সেই ফাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০ টাকা। যার ফলে ট্রাফিকের কেস করার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
এছাড়াও সমস্যা হল, কোন গাড়ি হর্ন বাজাল, সেটা প্রমাণ করতেও ঝামেলায় পড়েন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। শনিবার সকালে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, কলকাতা পুলিশ একুয়াস্টিক ক্যামেরা বসাচ্ছে। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট গাড়ি নির্ধারণ করা যাবে।
কোন গাড়ি কত জোরে হর্ন বাজাচ্ছে, সেই গাড়িগুলোকে অনায়াসে চিহ্নিত করে নেবে এই ক্যামেরা। এই বিষয় নিয়ে পরিবহন দফতর পুলিশের সঙ্গে কথা বলছে বলে তিনি জানান। পার্ক সার্কাস চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখা গেল নো-হর্ন বোর্ড লাগানো রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছেমতো সবাই গাড়ির হর্ন বাজাচ্ছে। এই শব্দ দূষণে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন রোগীর বাড়ির আত্মীয়রা। কিন্তু কিছু করার নেই।
শুধু চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল নয়, শহর কলকাতায় হর্ন নিষিদ্ধ এলাকাতে হর্ন বাজছে। এছাড়াও শহরের বেশিরভাগ জায়গাতে উচ্চস্বরে হর্ন বাজে। দেখা গেল সিগনাল লাল হয়ে থাকলেও গাড়ির ড্রাইভাররা অযথা হর্ন বাজান।
অন্যদিকে সিগনাল সবুজ হওয়ার দশ সেকেন্ড আগে থেকে উচ্চস্বরে হর্ন বাজাতে শুরু করে গাড়ির চালক। শহরে শব্দ দূষণ বাড়ছে। পুলিশি পদক্ষেপ মন্থর হওয়ার জন্য বাড়ছে শব্দ দূষণ। যা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।