পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ‘সুল্লি ডিলস’ মামলার প্রধান অভিযুক্তকের বিচার হোক। রবিবার এই মর্মে অনুমোদন দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা । মুসলিম মহিলাদের অনলাইনে ‘নিলাম’ করার প্রকাশ্য প্রচার করেছিল অভিযুক্ত ওমকারেশ্বর ঠাকুর (২৬)। সিআরপিসি-র ১৯৬ ধারায় তার বিচার করা হবে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ কিংবা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের বিচারের জন্য ১৯৬ সিআরপিসি লাগু হয়।
সিআরপিসি ১৯৬ ধারার অধীনে অভিযুক্তদের বিচার করার জন্য পুলিশের দিল্লির উপরাজ্যপালের অনুমোদন চেয়েছিল। এদিন সেই অনুমোদন মঞ্জুর করেন দিল্লির উপরাজ্যপাল। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুল্লি ডিলস অ্যাপের নির্মাতাকে।
বুল্লি বাই অ্যাপের মাস্টারমাইন্ড নীরজ বিষ্ণোইয়ের বয়ানের থেকে সূত্র পেয়েই ওমকারেশ্বর ঠাকুরকে ধরে পুলিশ। জেরায় পুলিশ জানতে পারে ওমকারেশ্বর ঠাকুরই সুল্লি ডিলসের কোড ছড়িয়েছিল। এই বিষয়ে দিল্লির সাইবার ক্রাইম সেলের প্রধান তথা দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কেপিএস মালহোত্রা বলেন, ‘ওমকারেশ্বর এই কোডটি তৈরি করেছিল এবং পরে এর অ্যাক্সেস গ্রুপের সমস্ত সদস্যের কাছে ছিল। সে তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে অ্যাপটি শেয়ার করে। সেখানেই মুসলিম নারীদের ছবি আপলোড করেছে গ্রুপের সদস্যরা।’
সুল্লি ডিলস কাণ্ডে ধৃত ওমকারেশ্বরের বয়স ২৬। ট্যুইটারে সে ট্রাড নামক একটি গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য মুসলিম মহিলাদের অপমানিত করা।
২০২০ সালে @gangescion নামক ট্যুইটার হ্যান্ডল ব্যবহার করে সেই গ্রুপে যোগ দেয় ওমকারেশ্বর। গিটহাবে সে সুল্লি ডিলস নামক অ্যাপটি ডেভেলপ করে। সুল্লি ডিলস নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ওমকারেশ্বর তার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ফুটপ্রিন্ট মুছে ফেলে। দিল্লির এক মহিলা সাংবাদিক এই অ্যাপ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি সামনে আসে।
এতদিন বাদে উপরাজ্যপাল এই বিচার চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। প্রসঙ্গত দিল্লির নগরনিগম নির্বাচনে ১৫ বছরের বিজেপি জামানকে খতম করে আপ এসেছে। তারপরই উপরাজ্যপালের এমন নির্দেশ নিয়ে সংগত কারণেই চর্চা হচ্ছে। পুলিশ ২০২১-এর ৭ জুলাই, একটি মামলা দায়ের করেছিল। ঠাকুরকে ওই বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল।