উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,সুন্দরবন : বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবনের অন্যতম সুন্দরবন। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে বেশকয়েক বছর ধরে।১১ ই ডিসেম্বর সারা সুন্দরবন জুড়ে পালন করা হলো সুন্দরবন দিবস।সমুদ্র উপকূল বর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বন ভূমি। সুন্দরবনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ প্রাণী,বিভিন্ন প্রজাতির পাখি,বিভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী সহ বহু প্রজাতির চিংড়ি ও মাছ রয়েছে।সমুদ্র উপকূল বর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপ হল সুন্দরবন। সুন্দরবনের অপর নাম বাদাবন , ম্যানগ্রোভ বন । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে,ভৌগোলিক গঠন অনুযায়ী সুন্দরবনের ৬২% বাংলাদেশে।এই সুন্দরবন বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম।সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে, বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ আছে।যেমন “সুন্দরবন” ও “ সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ” নামে। সুন্দরবনে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা।মোট বন ভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলো মিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা,খাঁড়ি,বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল।বনভূমিটি স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, ২ ধরনের হরিণ (চিত্রা হরিণ ,মায়া হরিণ ) ৩ প্রজাতির কচ্ছপ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।
অন্যবারের মতো এবার ও রবিবার সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সুন্দরবনর ১৯ টি ব্লকে।দঃ২৪ পরগনার মূল অনুষ্ঠানটি হয় সাগরের কৃষি বাজারে।উপস্থিত ছিলেনরাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা,দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃকল্যাণ রুদ্র,কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, বিডিও সুদীপ্ত মন্ডল সহ আরো অনেকে।রায়দীঘির কাশীনগর গালর্স স্কুলের সুন্দরবন দিবসে উপস্থিত ছিলেন রায়দীঘির বিধায়ক ডাঃঅলক জলদাতা,যুগ্ম বিডিও দ্বয় অনিমেষ রায় ও পার্থ রায় সহ আরো অনেকে।কুলতলির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক গনেশ মন্ডল,বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী, কুলতলি থানার আই সি অর্ধেন্দু দে সরকার সহ আরো অনেকে।নিমপীঠ বিডিও অফিসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সদানন্দজী মহারাজ, বিডিও সৌরভ মাজি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোনাজাত আলি খান সহ আরো অনেকে।জয়নগর ১ নং ব্লকের শান্তিপুর হাইস্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিভাস সরদার,বিডিও সত্যজিত বিশ্বাস,আইসি রাকেশ চ্যাটার্জী সহ আরো অনেকে। সুন্দর বনের গুরুত্ব এবং বৃক্ষ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য দিবসটি পালিত হলো।