পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশের ইতিহাসে এই প্রথম ডিজিটাল জনগণনা হবে। আসন্ন আদম সুমারির জন্য কেন্দ্র ৩,৭৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার জনগণনা হতে চলেছে ডিজিটাল মাধ্যমে। নিজেরাই নিজেদের তথ্য পূরণ করে জমা দেওয়ারও সুযোগ আছে। একটি প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার লোকসভায় একথাই জানাল কেন্দ্র। যা এই প্রথম হতে চলেছে। ২০২১ সালের জনগণনা প্রক্রিয়ায় বাড়তি কোনও তথ্য লাগবে কিনা বা কোনও পরিবর্তন হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর। লিখিত জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ এবং যাবতীয় প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য জনগণনা সংক্রান্ত একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। পোর্টালে লগ-ইনের জন্য মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। কেউ যদি নিজেরাই তথ্য দিতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বিষয়ে জানানা যাবে। সেই প্রক্রিয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোনে (যে নম্বর নথিভুক্ত করবেন) একটি চিহ্নিতকরণ নম্বর যাবে। তা গণনাকারীকে জানাতে হবে। যাতে আধিকারিকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্য নিয়ে নিতে পারেন।
সেইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণনার জন্য যে তথ্য জোগাড় করা হবে, তা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বা অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না। কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘১৯৪৮ সালের জনগণনা আইন অনুসারে জনগণনার জন্য যে ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে, তা জনসমক্ষে আনা হবে না।
এমনিতে মঙ্গলবারই সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সাংসদ রক্ষা নিখিল খাড়সের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার লিখিতভাবে নিত্যানন্দ বলেন, ‘জাতীয় স্তরে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের জনগণনার প্রথম পর্যায়ের সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) সংশোধনের কাজ (আপডেট) চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
দেশের প্রথম ডিজিটাল জনগণনার কথা সাধারণ বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।