শুভজিৎ দেবনাথ, বানারহাট: ডুয়ার্সে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙনে অস্বস্তি ঘাসফুল অন্দরে! তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এলাকায় ছুটে এলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী। দিনকয়েক আগেই বানারহাটের শালবাড়ি -২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও এক পঞ্চায়েত সহ নাথুয়া ও সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটার প্রধান পাড়া এলাকায় তৃণমূলের বড় সংখ্যক কর্মী সমর্থক এবং নেতা বিজেপি ও সিপিআই(এম ) – এ যোগদান করেন। তারপরই রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, এতেই ঘরে বাইরে চাপে পরে যায় যায় শাসক দলের নেতারা। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এখনো পর্যন্ত দলে থাকা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা এবং বৃদ্ধি করতে এলাকায় ছুটে এলেন তৃণমূলে জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। তবে এতেও কি বিজেপির ডিসেম্বর জুজুতে ঘাসফুলের ভাঙ্গন কি আটকানো যাবে? প্রশ্ন কিন্তু তুলছে বিরোধীরা।
শুক্রবার বিকেলে নাথুয়া বাজার সংলোং চৌপতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পেট্রোপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির ও অনবরত কুৎসা ও অশালীন মন্তব্যকারী পদ্ম নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন শালবারী -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এইদিনের প্রতিভা সভায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল কংগ্রসের জেলা সভা নেত্রী মহুয়া গোপ, বানারহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং এলাকার অঞ্চল সভাপতি কবির হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মহিলা শাখা সংঘটনের রাজ্য সম্পাদিকা তথা বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী ,যুব সংগঠনের ব্লক সভাপতি বিমল মাহালী ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্বরা। সভামঞ্চ থেকে এদিন বিজেপি নেতাদের একেরপর এক হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন জেলা সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী। এদিনের এই প্রতিবাদ সভা কার্যত জনসভায় পরিণত হয় বলেই দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। ১১টি বুথ থেকেই কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে এসে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হন বলেন তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদ সভা শেষে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ সংবাদ মাধ্যমে জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দল যেখানে সভা করে তার পাল্টা কাউন্টার করা হয়। অভিষেক ব্যানার্জি নির্দেশ আমরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমরা আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করছি।
পাশাপাশি নাম না করেই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কালীপদ রায়কে কটাক্ষ করে বলেন দীর্ঘ দশ মাস সময় ধরে তিনি কোনো কাজ করেনি। তার বিরুদ্ধে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা দুর্নীতি ও স্বজন-পোষণ এর অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছিল, কিন্তু দল তাকে সুযোগ দিয়েছিল। তারপরও প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারেনি। প্রশাসনের তরফের দায়িত্ব নিতে বলা হলেও তিনি দায়িত্ব নেন নি এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত করেছেন। ১৫ দিনের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচিত করা হবে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল সেটা তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছে। সেই অভিযোগ থেকে পরিষ্কার হতে ভারতীয় জনতার পার্টির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গিয়েছে।