পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ইমাম আলী গাজী। তাকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ করা হয়েছে তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি ১ ব্লকের দক্ষিণ আখড়াতলা পোল এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নেজাট থানার সন্দেশখালি ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ইমাম আলীর একটি ইটভাটা সংলগ্ন জমিকে কেন্দ্র করে বিবাদ ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে। অভিযোগ নিজের নামে জমি রেকর্ড করে জোর করে জমি দখল করছিল বিজেপি নেতা বীরেন কান্ডার।
রবিবার সকালে সেই জমি দখল করতে যায় বীরেন কান্ডার সহ দীপক প্রামাণিক, স্বপ্নময় প্রামানিকরা। সেই নিয়ে বছর থেকে বীরেন কান্ডারের লোকজন আক্রমণ করে ইমাম আলী গাজীর উপর।
এই তিন বিজেপি নেতা তাকে ঘিরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে, ধরে বেধড়ক মারধর করে, শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। তাকে বাঁচাতে গেলে ইমাম আলীর দুই ভাই নজরুল ও রবিউলও আক্রান্ত হয়। ইমাম আলীর চশমা ভেনে যায়। তার গলা দিয়ে কিছুটা রক্ত বের হয়।
গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে আক্রমকারী বিজেপি নেতারা ঘটনাস্থাল থেকে পালিয়ে যায়। ইমাম আলীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। নেজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা এলাকার একটি খালও দীর্ঘদিন দখল করে রেখেছে। এছাড়া পঞ্চায়েত থেকে লাগানো গাছও রাতের অন্ধকারে কেটে দেয় বলে দাবি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের। এছাড়া রাস্তা দেওয়ার নাম করে ওই বিজেপি নেতা পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে বলে দাবি আলোমনী সরদার নামে এক গ্রামবাসীর।
যদিও বিজেপির অভিযুক্ত নেতাদের দাবি, আমরা এই জমি দীর্ঘদিন ধরে লিজ নিয়ে রেখেছি। ওই তৃণমূল নেতা জোরপূর্বক জমি দখল করতে এসেছিল।
বিজেপি যুব মোর্চার বসিরহাট মহকমা সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস বলে কিছু নেই। তৃণমূলের অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষই তাদের উপর আক্রমণ করছে এই ঘটনা সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে এলাকায় উত্তপ্ত। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। ঘটনার পূর্ণ প্রশাসনিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান।