পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর ব্লকের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কমিউনিস্ট ভাবাদর্শে বিশ্বাসী নুরুল হুদা চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি রেখে গেছেন এক পুত্র ও কন্যাকে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থ জনিত কারণে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রবিবার সকালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর ব্লকের সৈয়দকাটি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারে জন্ম নুরুল হুদার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার পর নির্মাণ আদর্শ বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতা শুরু করেন। এই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষকের পদ সামলে ২০০২ সালে অবসর নেন। তিনি বামপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআই দলের প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ১৯৬৬ সালে খাদ্য আন্দোলনে শহিদ নুরুল ইসলামের গুলি খাওয়ার ঘটনার দিন রাজনৈতিক গুরু যামিনী রঞ্জন সেনের নির্দেশে তিনি সেদিন সেখানে হাজির ছিলেন।
বাম আমলে এলাকায় ইছামতির চরে প্রায় ৬০০ বিঘা কৃষি জমি গরীব মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দল মত নির্বিশেষে বহু মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। রবিবার নুরুল হুদাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।