পুবের কলম প্রতিবেদক: গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সব গাড়িতেই লাগাতে হবে ‘ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’। তার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। তবে দেখা গিয়েছে, অনেক গাড়িতেই এই ডিভাইস লাগানো হয়নি।
সূত্রের খবর, ডিভাইস সরবরাহকারী সংস্থার পক্ষ থেকেই সময় চাওয়া হয়েছিল। একটি সূত্র বলছে, রাজ্যে এমন পদ্ধতি চালু হওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা আমাদের রাজ্যে নেই। তাই সব দিক বিবেচনা করে ‘ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ লাগানোর জন্য সময় বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পরিবহণ দফতর।
রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, এবার থেকে গণপরিবহণের কাজে যুক্ত সব গাড়িতেই লাগাতে হবে ‘ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’। সরকারের যুক্তি- এই ডিভাইস লাগানোর ফলে কোথাও গাড়ি দুর্ঘটনা হলে সেই সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পেতে পারবে পরিবহণ দফতর ও প্রশাসন।
রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা ও মোটর ভেহিক্যাল আইনের নিয়মানুসারেই সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভেহিক্যালে ‘ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ লাগাতে বলা হচ্ছে। এর জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা হবে ৩১ মার্চ ২০২৩। না করা হলে পারমিট বা ফিটনেশ সার্টিফিকেট নবীকরণ বা নতুন করে প্রদান করা হবে না। তবে নতুন যে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে কারও পারমিট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট নবীকরণ করতে হলে মুচলেকা দিতে হবে। তার জন্য একটি ফরম্যাট পাওয়া যাবে ট্রান্সপোর্ট ডাইরেক্টরেট-এর অফিস বা ওয়েবসাইটে।
এ নিয়ে সিটি সাব-আর্বান বাস সার্ভিসেস-এর সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, তিন মাসের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে এটা ভালো। তবে মুচলেকা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ‘ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ না লাগাতে পারলে ফাইন করার সিদ্ধান্ত একতরফা ও অনৈতিক। যন্ত্রের কাজ বা টেকনিক্যাল দিক আমরা কিছুই জানি না, এদিকে সরকার জোর করে কয়েকটি কোম্পানির কাছে থেকে যন্ত্র কিনতে বলছে। আমাদের দাবি, সরকারকে খরচ বহন করতে হবে আর ‘ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’-এর কাজকর্ম ও অন্যান্য দিক আমাদের কাছে বিস্তারিত আকারে তুলে ধরতে হবে।