পুবের কলম প্রতিবেদক, হিঙ্গলগঞ্জ: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে সামশেরনগর গ্রামে বনবিবি মাঠে মুখ্যমন্ত্রী সভায় প্রশাসনিক ত্রুটির জন্য ১৫০০০ শীত বস্ত্র পৌঁছায়নি। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার সকাল থেকে শীতবস্ত্র প্রদান, অনুষ্ঠানে এসে বিস্ফোরক বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে যিনি সর্বদা সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। তাই ২৩ এ পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। পঞ্চায়েতে এই জেলায় দুই একটি আসন পাবে কিনা সন্দেহ আছে।
পরাজয় মেনে তারা বাংলাদেশে পালাবে। কিন্তু পাশেই সুন্দরবনের জঙ্গলের বাঘ আর জলের কুমির খেয়ে ফেলবে। যতই কুৎসা অপপ্রচার করুক, কোনোমতে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে হঠানো যাবে না। আমরা মানুষের সর্বদা সবসময় পাশে থাকি। শীতবস্ত্র কান্ড নিয়ে পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদের সংযোগ ত্রুটির জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে শীতবস্ত্র দিতে না পারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক ও হিঙ্গলগঞ্জ বিডিওর কোথায় একটা যোগাযোগ ভুল ছিল ।
যার কারণে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী শীতবস্ত্র দিতে পারেননি উনি নিজে অনুতপ্ত। জ্যোতিপ্রিয় বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বলেন বিজেপি অপপ্রচার বড় বড় কথা বলে কোন লাভ নেই বিজেপি যতই লাফালাফি করুক পঞ্চায়েত নির্বাচনে দু একটা আসন ছাড়া কিছু পাবে না। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ী, বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, সুকুমার মাহাতো, রফিকুল ইসলাম, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা প্রমুখ। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে হিগলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারের সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প বসলো। বুধবার জঙ্গলের পারের বাসিন্দারা একদিকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, মৎস্যজীবী কার্ড, কৃষি প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা পেতে ফরম তুলে জমা শুরু করলো। রীতিমতো খুশি সুন্দরবনের মানুষ। সকাল থেকেই সেই ছবি দেখা গেল কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা সরকারি প্রকল্প সুবিধা নিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু করলো।