পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : বৌদ্ধ মঠে থাকেন না কোনও ভিক্ষু। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই মধ্য থাইল্যান্ডের ওই মঠে উপাসনার কাজ চলছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই মঠ পুরো ফাঁকা। থাইল্যান্ডের একটি মঠে মঠাধ্যক্ষ সহ চারজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার থাইল্যান্ডের ফেচাবুন প্রদেশের বুং সাম ফান জেলার মন্দিরে মেথামফেটামিন মাদক পাওয়া যায়। তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
মাদকে আসক্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে খোদ মঠের চার ভিক্ষুর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রয়েছেন মঠাধ্যক্ষ। মাদক পরীক্ষা হলে তাতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের থেকে সন্ন্যাসী পদমর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মাদকের নেশা ছাড়াতে তাঁদের রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে ওই মঠের বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত থাকার খবর আসে। অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার মাদক পরীক্ষা হলে ভিক্ষুদের রক্তে মেথামফেটামিন মাদক মেলে। এরপরেই চার সন্ন্যাসীর ভিক্ষু মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই মঠটি পুরো ফাঁকা। সেখানে আর কোনও সন্ন্যাসী থাকে না। এমনকী ওই মঠ থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রায়ই গ্রামে যেতেন ভিক্ষা করতে।
স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, মাদকে আসক্ত ভিক্ষুদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মঠ এখন ভিক্ষু শূন্য। এর ফলে আশেপাশের গ্রামবাসীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কোনওরকম ‘মেরিট মেকিং’ (বৌদ্ধদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় চর্চা বা অনুশাসন) করতে পারছেন না। এই প্রথা অনুসারে উপাসকরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের খাদ্য দান করে থাকেন।
অন্যদিকে এই অবস্থায় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মঠে অন্য সন্ন্যাসীদের পাঠানোর ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে মাদকের রমরমা নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মাদকে আসক্ত হওয়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে থাইল্যান্ডের এক বৌদ্ধ মঠে পশুদের মাদক খাওয়ানো হত বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিপুল পরিমাণ মেথামফেটামিন পাচার হয়ে আসে থাইল্যান্ডে। লাওস থেকে মায়ানমার হয়ে ঢোকে এই মাদক।