পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে অস্থিরতা। নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে একের পর খুনের ঘটনার বীভৎসতায় কেঁপে উঠছে সমাজ। নৃশংস ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
২০১৯ সালের ভিত্তিতে মহিলাদের উপর নানা ধরনের হওয়া অত্যাচার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷ প্রতি ২ ঘণ্টায় কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়৷ প্রতি ৬ মিনিটে একজন মহিলাকে অশালীন হেনস্থা করা হয়৷
প্রতি ১১ মিনিটে পরিবারের সদস্য, প্রিয় সঙ্গীর হাতে খুন হচ্ছে একটি মেয়ে, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ভারতে হওয়া শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার কথা তুলে ধরে এইভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের জলন্ধরের ঘটনা নাড়িয়ে দিল গোটা সমাজকে। এক শ্রমিককে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ চার যুবতীর বিরুদ্ধে। পরে তার চোখ-হাত বেঁধে শ্রমিককে একটি নির্জনস্থানে ফেলে দিয়ে যায়। নির্যাতিত শ্রমিকের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। শ্রমিকের আরও অভিযোগ, গাড়িতে থাকা চারজন মেয়ে তার কাছ থেকে ঠিকানা চাওয়ার অছিলায় তাকে একটি স্লিপ দেন।
স্লিপটি পড়ার সময়ে তার চোখে মুখে কিছু স্প্রে করে দেওয়া হয়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তিনি দেখেন তিনি একটি গাড়ির মধ্যে, তাঁর চোখ এবং হাত বাঁধা৷ পরে তাঁকে মাদক খাইয়ে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তরা তাঁকে মদ্যপান করায় বলে অভিযোগ। পরে অত্যাচার চালানোর পর তাকে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
নির্যাতিত শ্রমিক জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। শ্রমিকের অভিযোগ, যৌন হেনস্থা করার জন্যই তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কাপুরথালা রোডের কাছে এই ঘটনা ঘটে। মহিলাদের সম্ভ্রান্ত ঘরের বলেই মনে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই শ্রমিক। তারা ইংরেজিতে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। কিন্তু শ্রমিকের সঙ্গে পঞ্জাবি ভাষায় কথা বলেছিলেন তারা। ভোর তিনটের সময় তাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা।
নির্যাতিত শ্রমিক এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের না করলেও পঞ্জাব পুলিশ সুয়োমোটো কেস ফাইল করে তদন্ত শুরু করেছে।