পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাগের বশে হঠাৎ করে উত্তেজনায় শ্রদ্ধাকে খুন করে ফেলেছিলেন বলে আদালতে জানায় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এমনকী আদালতে সে জানায়, তার সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা সব সত্য নয়।
তদন্তে পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে জানায় আফতাব। তার অনুমতির পরেই আদালত তার পলিগ্রাম টেস্টের অনুমোদন দেয় দিল্লির সাকেত আদালত। কিন্তু এবার পিছিয়ে গেল সেই পলিগ্রাফ টেস্ট। দিল্লি পুলিশ সূত্রে ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা পরীক্ষার ফলকে প্রভাবিত করতে পারে৷
তাই পুরোপুরি সুস্থ না হলে কোনওভাবেই পরীক্ষা করা যাবে না। আফতাবের নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষাও হওয়ার কথা রয়েছে বৃহস্পতিবার। পলিগ্রাফ টেস্টের পর নারকো টেস্টও আরেকদিন পিছিয়ে দেওয়া হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে। একদিন আফতাবকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইয়ের ভাসাই ছেড়ে দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। বাড়ি দুজনের এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় শ্রদ্ধা তার বাবাকে জানিয়ে এসেছিলেন তাকে ভুলে যেতে। কিন্তু যাকে বিশ্বাস করে বাড়ি ছেড়েছিলেন, সেই সেই লিভ ইন সঙ্গীর হাতে এত হেনস্থা হতে হবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। দিল্লি আসার সঙ্গে সঙ্গে আফতাবের আসল মূর্তি দেখতে পায় শ্রদ্ধা।
প্রায় তাকে মারধর করা হত। এমনকী খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে দেওয়ারও হুমকি দেয় আফতাব। এই প্রসঙ্গে থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আফতাব। তিনি খুন হতে পারেন বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন৷ শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের তদন্তে নেমে দু-বছর আগের সেই অভিযোগপত্র দিল্লি পুলিশের হাতে এল। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাসাই থানায় তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা।
অভিযোগ পত্রে শ্রদ্ধা লিখেছিলেন, আফতাব তাঁকে ছ’মাস ধরে শারীরিক নির্যাতন করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। মারধরে আহত হওয়ার একটি ছবি বন্ধুদের কাছে পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা৷ কিন্তু পরে আবার জানায় সব ঠিক হয়ে গেছে। শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আফতাবের পরিবারের তরফ থেকেও শ্রদ্ধাকে বলা হয়েছিল। তবে আফতাবের এই হিংস্র রূপ তার পরিবার জানত বলে বন্ধুকে জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অফতাব। তার পর তার দেহের ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই দেশে অন্যতম চাঞ্চল্যকর খবর শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ড। যা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছে।