পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ তেলেঙ্গানার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শাবির আলি মুখ্যসচিব সোমেশ কুমারের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছেন। সেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন, রাজ্য সরকার শিক্ষা ও সরকার চাকরিতে মুসলিম কোটা চার থেকে কমিয়ে তিন শতাংশ করেছে কিনা? যদি করে থাকে তাহলে কেন করা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে শাবির বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে মুখ্যসচিবকে নতুন রোস্টার পয়েন্ট সম্পর্কে স্পষ্ট করতে বলা হয়েছিল, যা প্রকৃত কোটা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এসটি কোটা ৬ থেকে ১০ শতাংশে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ‘তেলঙ্গানা রাজ্য ও অধীনস্থ পরিষেবা বিধি ১৯৯৬’-এর বিধি ২২ এবং ২২এ- এর অধীনে নতুন রোস্টার পয়েন্ট জারি করেছে।
রোস্টার নম্বর ১৯, ৪৪ এবং ৯৪-কে চিহ্নিত করা হয়েছে বিসি-ই (মুসলিম) বিভাগ হিসেবে। আইন অনুযায়ী রোস্টার নম্বর ৬৯-ও বিসি-ই কোটার নির্ধারণ করা উচিত যেখানে মুসলিমদের জন্য চার শতাংশ কোটা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘আমরা যখন মিডিয়ার মাধ্যমে ভুলটি তুলে ধরলাম, তখন সরকার তার প্রচার সেলের মাধ্যমে মুসলিম কোটা কমানোর বিষয়টি অস্বীকার করে একটি ‘রিজোয়ন্ডার’ পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, তিনি মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাওকে এই বিভ্রান্তির জন্য দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।