উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : শীত পড়ে গেছে,আর শীত মানেই ৮থেকে ৮০ সব বাঙালির প্রিয় জয়নগরের মোয়া।আর এই মোয়া শীতের নলেন গুড় ছাড়া হয়না।তাই তো এই সময়েই এর চাহিদা এত।আর এই মোয়ার আয়ুস্কাল তিন থেকে চার দিনের বেশি না থাকার ফলে দেশের বাইরে এই মোয়া পাঠাতে এত দিন সমস্যায় পড়ছিলো মোয়া ব্যবসায়ীরা।আর সে সমস্যা মেটাতে এবার নিজেদের উদ্যোগে জয়নগরে এই প্রথম চালু হল মোয়ার পরীক্ষাগার ও আধুনিক স্বাস্থ্য সম্মত মোয়ার প্যাকেজিং ও সুগার ফ্রী মোয়ার ব্যবস্থা,সোমবার জয়নগর স্টেশন মোড়ের দও কমপ্লেক্সে খোকনের মোয়ার দোকানে মোয়ার এই পরীক্ষাগার চালু হল।
এদিন এই পরীক্ষাগারের ফিতে কেটে ও প্রদীপ জ্বেলে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলকাতার মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি কে সি দাসের বর্তমান বংশধর ধীমান দাস,চেয়ারম্যান তথা গাঙ্গুরামের বর্তমান বংশধর রাজেশ চৌরাশিয়া, সিনিয়র বিজ্ঞানী দেবর্ষী দে,জয়নগর ১ নং বিডিও সত্যজিত বিশ্বাস,খোকন দাস,রাজেশ দাস, ভবানী সরকার,রনজিত ঘোষ সহ আরো অনেকে,এদিন এই পরীক্ষাগারে এসে ধীমান দাস বলেন, কলকাতার রসগোল্লার পাশাপাশি জয়নগরের মোয়া ও জি আই পেয়েছে। আর খোকন ও রাজেশের উদ্যোগে মোয়ার এই পরীক্ষাগার খুব ভালো উদ্যোগ।রাজেশ চৌরাশিয়া সুগার ফ্রী মোয়া মোয়া প্রেমীদের কাছে একটা জায়গা করে নেবে বলে মনে করেন,জয়নগর ১ নং বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, জয়নগরের মোয়াকে নিয়ে ওনাদের এই কাজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যেতে পারবে।বিজ্ঞানী দেবর্ষি দে কিভাবে এই মোয়ার পরীক্ষা এখানে হবে তা তুলে ধরেন। মোয়া ব্যবসায়ী খোকন দাস ও রাজেশ দাস বলেন,এই মোয়া ১৫ দিন আয়ু থাকবে।তাছাড়া পুরোপুরি স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে এই মোয়া আমরা খাদ্যপ্রেমী মানুষ দের হাতে তুলে দোবো।আর জয়নগরে এই ধরনের পরীক্ষাগার নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। এখন দেখার সুগার ফ্রী মোয়া ও পরীক্ষাকৃত মোয়া কতটা জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে।