নিজস্ব প্রতিনিধি: সর্বশিক্ষা অভিযানের পরে এবার প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা খাতে রাজ্য সরকারকে ৫৮৪ কোটি টাকা পাঠাল মোদি সরকার। প্রকল্পের নামের সঙ্গে ফের প্রধানমন্ত্রী কথা জুড়ে দেওয়ার কারণেই রাজ্য সরকারকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩ এর আওতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে আরও ছয় হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ওই রাস্তা বানাতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ওই বিপুল পরিমাণ খরচের প্রথম কিস্তি হিসেবে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে একশ দিনের কাজ প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য মেটানোর বিষয়ে এখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি গিরিরাজ সিংয়ের মন্ত্রক।
বিধানসভা ভোটের পরেই রাজ্যে চলা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ওই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত অগস্ট মাসে একশো দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি সহ একাধিক প্রকল্পের বকেয়া পাওনা মেটানোর আর্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রাপ্য না পাওয়ায় একাধিক সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প চালিয়ে নিতে গিয়ে যে রাজ্য সরকারকে প্রচণ্ড সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার পরেই একশ দিনের কাজ প্রকল্পে রাজ্যের পাওনা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না দিল্লি।
আর মোদি সরকারের এমন অবস্থান দেখে শঙ্কিত রাজ্যের শীর্ষ আমলারা। তাঁরা মনে করছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে একশো দিনের কাজের টাকা না পেয়ে যাতে শাসকদলের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়, সেই অভিসন্ধি নিয়েই এমন আচরণ করছে মোদি সরকার।’