উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর : বারুইপুরে বাড়ি থেকে অনতিদূরে পানাপুকুরে এক আইনজীবির দেহ উদ্ধার, আটক ১। বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে পানাপুকুরে কাদা-জলের মধ্যে বাইকের নীচ থেকে এক আইনজীবির দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম সঞ্জয় মিত্র(৪০)। তাঁর মুখে, মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন আছে। এমনকী গলায় পেঁচানো দাগের সন্ধানও মিলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে বারুইপুর থানার মদারাট পঞ্চায়েতের মাঝেরহাট বড় পোল এলাকায়। পানাপুকুরের পাশে রাস্তায় তাঁর জুতো, মাফলার, বাজারের ব্যাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। মৃতের মোবাইল, মানি ব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকা, প্যান ও আধার কার্ড উধাও হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ কে খবর দেয়। বারুইপুর থানার পুলিশ এলাকায় গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতের স্ত্রী শর্বাণী মিত্র থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় একাধিক লোক জড়িত থাকতে পারে বলে তাঁর সন্দেহ। পুলিস প্রতিবেশী সুজন সর্দার কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কয়েকমাস আগে জমিজমার কারণে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল
।মদারাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নায়েবের মোড় সংলগ্ন সোলগোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মিএ বারুইপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবি ছিলেন। পরিবারে এক ছেলে এক মেয়ে স্ত্রী আছেন। স্ত্রী শর্বাণী মিত্র বলেন, মঙ্গলবার আদালত থেকে বাড়িতে এসে কিছুক্ষনের জন্য আমাকে নিয়ে বেরিয়েছিল। তারপর বাড়িতেই ছিল। কিন্তু রাত ১০টায় একটা ফোন আসে তারপর বেরিয়ে যায়। রাত ১২-৩০টায় ফোনে জানিয়েছিল দশ মিনিটের মধ্যে বাড়ি আসবে। এরপর রাত ২-৪০ এর পর ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। সকালে পানাপুকুরের বাইক, জুতো পড়ে থাকায় জানাজানি হয়। তিনি বলেন, পরিকল্পনা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে স্বামীকে। এলাকায় সবার উপকার করতেন শত্রু কেউ ছিল না। তবে এক মহিলা কেসটেস নিয়ে মাঝে মধ্যে স্বামীকে ফোন করতেন। ওই মহিলা এক বছর আগে আমাকে হুমকিও দিয়ে বলেছিল আমাকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এরপর এদিন সকালে মহিলাই ফোন করে বলে দেহ পানাপুকুরে না হাসপাতালে আছে খোঁজ নাও। মহিলার যোগ থাকতে পারে।তবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলি