পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল মাদারিহাটের বায়ো-ডাইভার্সিটি পার্ক। আর মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ছেকামারিতে বিশ্বকর্মা বায়োডাইভারসিটি পার্কে বসানো হয়েছিল ১০০টি মৌমাছির বাক্স।
এই সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের রোজগারের পথ তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পটি চালু হয় কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে গোটা প্রকল্পটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত ধরেই উদ্ভোদন হয় এটির। এই গোষ্ঠীর সদস্য রবিন কার্জি জানান, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল মৌমাছি আনার ২০ দিন পর। মৌমাছি লালনপালনের কোনও নিয়ম তাঁদের জানা ছিল না।
যখন প্রশিক্ষণ নেওয়া হল ততদিনে অর্ধেকের বেশি মৌমাছি মরে গিয়েছে। বাকিগুলি উড়ে গিয়েছে। ওই গোষ্ঠীর আরেক সদস্য কার্তিক শৈব বলেন, মৌমাছির বাক্সগুলিতে বর্ষায় বৃষ্টির জল ঢুকে প্রচুর মৌমাছি মারা গিয়েছে। খোলা আকাশের নীচে সুপুরি বাগানের ভিতর বাক্সগুলি বসানো হয়েছিল।
বাক্সগুলির ওপরে ঘর তৈরির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু করা হয়নি। তাছাড়া ওদের খাবার হিসেবে চিনি গুলিয়ে দিতে হত। আমাদের এ বিষয়ে কেউ অবগত করেননি। যখন করা হল ততদিনে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। গোটা প্রকল্পটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা জানান, প্রকল্পটি শুরু করার আগে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত ছিল। যাতে প্রথম থেকে কাজটি শুরু করা যায়।
কিন্তু তা না করে তড়িঘড়ি মৌমাছি এনে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই পার্কের পাশে সুপারি বাগানের মাঝে মৌমাছি সহ বাক্সগুলি বসিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন জেলা ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক প্রসেনজিৎ শৈব বলেন, উদ্দেশ্য খুব ভালো ছিল। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে গোটা প্রকল্পটাই মুখ থুবড়ে পড়ল। এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনাকে টেলিফোন করেও উত্তর মেলেনি। এসএমএস করেও উত্তর পাওয়া যায়নি। মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রশিদুল আলমের কথায়, আবার চেষ্টা চলছে মৌমাছি আনার। তবে এটি ফের চালু হলে বহু মানুষ যে আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।