পারিজাত মোল্লাঃ আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে হতে চলেছে টেট পরীক্ষা। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক মামলার শুনানিতে জানিয়েছিলেন, তিনি টেট পরীক্ষায় বাধা হতে চান না’। তবে অনিয়ম পেলে তিনি কঠিন নির্দেশ জারি করতে পিছুপা হবেন না। সেই কথাও জানিয়েছিলেন সেদিন। তবে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ভরা আদালতে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এদিন তিনি এজলাসে বললেন, ‘নিয়ম মেনে পরীক্ষা না হলে বন্ধ করে দেব’। বুধবার টেট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। ২০১৭-এর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও ২০১৪-র ব্যাপারে এখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই নিয়ে করা এক মামলার শুনানি চলে হাইকোর্টে। এদিন টেট নিয়ে একাধিক মামলার শুনানি ছিল। সেখানে পর্ষদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। সেখানে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন শুনানির সময় তিনি জানান, ‘পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আমি আগে বলেছিলাম নিয়োগে বাধা দেব না। কিন্তু যদি অনিয়ম দেখি পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।’
৮২ নম্বর পাওয়া ২০১৭-র টেট প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কেন তা হয়নি?
তা নিয়েই মামলা হয় হাইকোর্টে। বুধবার চলে সেই মামলার শুনানি। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছে, ‘ আগামী শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে তালিকাও’।
গত সোমবার ২০১৭-র টেট প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেখানেই ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টেট উত্তীর্ণ হতে গেলে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছেন, শতাংশের হিসেবে তাঁদের প্রাপ্তি ৫৪.৬ বা ৫৪.৭ শতাংশ। চাকরি প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ৫৪.৬ বা ৫৪.৭ শতাংশ নম্বরকে ৫৫ শতাংশ হিসেবেই গণ্য করতে হবে। তারপরও ২০১৪ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল না কেন? সেই প্রশ্ন ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে এদিনের শুনানিতে।