পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের। বুধবার সিডনিতে প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেলবাবর আজম ব্রিগেড। একইসঙ্গে ফাইনালে ভারত-পাক লড়াই হওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হল। রোহিত ব্রিগেড যদি বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারে, তাহলে রবিবার মেগা বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের ভারত-পাক হাইভোল্টেজ ম্যাচ।
এবার প্রতিযোগিতার শুরু থেকে বাবর ব্রিগেডকে তেমনভাব কেউ পাত্তা দেয়নি। মেলবোর্নে প্রথম ম্যাচেই ভারতের কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। পরের ম্যাচে জিম্বাবোয়ের কাছেও হার মানতে বাধ্য হয় তারা। এরপরে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। পর পর তিনটে ম্যাচ জিতে সেমির পথ প্রশস্ত করে তারা। তার মধ্যে অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
বর্তমানে পাক দলের কোচ ম্যাথু হেডেন সেমির লড়াইয়ের আগেই অবশ্য অন্য দলগুলিকে সতর্ক করে দেন, পাকিস্তান দল সম্পর্কে কেউ যেন আগাম অনুমান না করে। একটা সময় প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়ের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তান এখন খেতাব জয়ের থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে।
এ দিন সিডনিতে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দল নিউজিল্যান্ডকে কার্যত দুরমুশ করে দিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে। জবাবে পাকিস্তান ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়।
দলের পক্ষে জোড়া অর্ধশতরান অধিনায়ক বাবর আজম এবং মুহাম্মদ রিজওয়ানের। বাবর ৪২ বলে সাতটি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করেন। একইসঙ্গে তিনি টি-২০ আন্তর্জাতিক অধিনায়ক হিসেবে পূর্ণ করলেন ২,০০০ রান। অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে টি-২০’তে ২০০০ রান করলেন বাবর।
পাশাপাশি রিজওয়ান ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার। প্রথম ওভারেই বাবরের ক্যাচ মিস করেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটকিপার কনওয়ে। তাঁর খেসারতও দিতে হয় দলকে। ওপেনিং জুটিত ১০৫ রান ওঠে পাকিস্তানের। বোল্ট যখন তাঁদের ফেরান, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
মুহাম্মদ হ্যারিসের সংগ্রহ ৩০। নিউজিল্যান্ড ১৫২ রান তোলের পরে মনে করা হচ্ছিল, বোলাররা দলকে ম্যাচে ফেরাবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। পাক ওপেনিং জুটিই ম্যাচ বের করে নেন। বোল্ট ৩৩ রানে দু’টি উইকেট পেয়েছেন। টিম সাউদি, ফার্গুসনরা চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। একটি সফলতা পেয়েছেন স্যান্টনার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির শিকার হন ফর্মে থাকা ফিন অ্যালেন(৪)। ডেওন কনওয়েও (২১) সুবিধা করতে পারেননি। এরপরে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ইনিংসে হাল ধরেন।
অধিনায়ক এবং ড্যারি মিচেলের সৌজন্যে দলের রান দেড়শোর গণ্ডি পেরোয়। তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে মিচেল ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক উইলিয়ামস ৪২ বলে ৪৬ রান করেন।
তাঁকেও ফেরান আফ্রিদি। শেষের দিকে কিউয়ি ব্যাটারদের যতটা আক্রমণাত্মক হওয়ার দরকার ছিল, সেটা হতে পারেননি। পাকিস্তানের পক্ষে আফ্রিদি ২৪ রানে দু’টি উইকেট দখল করেন। নওয়াজ পেয়েছেন একটি উইকেট। দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ রিজওয়ান।