পুবের কলম প্রতিবেদক, নদিয়া: কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সমস্ত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। কোন খামতি রাখা হচ্ছে না। বেশ কিছু জায়গায় নো এন্ট্রি করা হয়েছে। তবে সর্বত্র নো এন্ট্রি থাকবে না।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা করবেন। সেখানে সকাল থেকেই নদিয়ার দুই পুলিশ জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক আসছেন। মহিলাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো হবে বলে তৃণমূল নেতাদের দাবি।
এদিন সকাল থেকেই কৃষ্ণনগর এসপি অফিসে চূড়ান্ত ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ এসেছে। আজ ভোর থেকেই তাদের বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার স্থানকে এ বি সি তিনটে স্তরে ভাগ করা হয়েছে। কর্মী সমর্থকরা সেখানেই বসছেন। প্রতিটি স্তরে দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চের একদম সামনে রয়েছে ডি জন। সেখানে বসছেন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। কৃষ্ণনগর শহর থেকে একটু দূরে পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের গাড়ি সেখানেই থাকবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ৪ জন এসপি, ৯ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার , ২৬ জন ডিএসপি পর্যায়ের অফিসার, ৪৬ জন ইন্সপেক্টর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি ৩৫০ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৭৪০ জন কনস্টেবল, ২৫০ জন লেডি কনস্টেবল, সেই সঙ্গে ১২০০ সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়ন করা হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সভায় অনেক ভিআইপি থাকবেন, তাই নিরাপত্তায় কোন কোন ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রায় এক বছর পর আমাদের জেলায় এলেন। এতে আমরা উৎসাহী। মুখ্যমন্ত্রী আসা মানে এটা আমাদের কাছে একটা উৎসবের মতো। আমাদের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কোন খামতি থাকছে না। তেমনি পুলিশ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।
কৃষ্ণনগরে বেলা একটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সার্কিট হাউস থেকে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠ তথা মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থল পর্যন্ত নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
কৃষ্ণনগরের সভা শেষে তাঁর শান্তিপুরে যাওয়ার কথা। সেখানে দুটি জায়গায় রাস উৎসবে যোগ দেবেন তিনি। পরে আবার কৃষ্ণনগর ফিরে আসবেন। বৃহস্পতিবার তাঁর যাওয়ার কথা রানাঘাটের হবিবপুরে ছাতিমতলার মাঠে। সেখানে রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। নদিয়ায় রাস উৎসবেও যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় কর্মসূচি রয়েছে কৃষ্ণনগরে। শান্তিপুর বা নবদ্বীপে তাঁর যাওয়ার কোনও কর্মসূচির কথা জানানো হয়নি।
কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কেন মুকুল ছিলেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এরা তো বহুরূপী। ভোটে জেতার জন্য বিজেপি। সুবিধা ভোগ করার জন্য তৃণমূল। সাহস থাকলে উনি এক বার বলুন যে, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’
মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর পৌঁছে সার্কিট হাউসে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।