পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। আর শীত মানেই নানা ধরনের শাক-সবজি। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম কম থাকার কথা। কিন্তু ফলন ভালো হলেও গত বছর শীতে রাজ্যে চড়া ছিল সবজির দাম। ফলে বাজারে গিয়ে নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। আসন্ন শীতে যাতে গতবছরের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য আগেভাগেই কোমর কষে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে যাতে থাকে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর নবান্নে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, উদ্যানপালন মন্ত্রী সুব্রত সাহা, মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি, প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথদের পাশাপাশি তাঁদের দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরাও।
নবান্ন সূত্রে খবর, শীতের মুখে রাজ্যে ডিম সহ শাক-সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ পৌঁছেছে। শুধু শহরাঞ্চলেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। খুচরো বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। এক ঝটকায় এক টাকা বেড়ে ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে সাড়ে ছয় টাকা। অথচ রাজ্যের অধীনস্থ প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের পক্ষ থেকে পাঁচ টাকা বিক্রি হচ্ছে ডিম। কেন খুচরো বাজারে ডিমের দাম এক ধাক্কায় এতটা বাড়ল তা নিয়ে মূল্যবৃদ্ধি রোধে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কাছেও খোঁজখবর নিয়েছেন।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর গ্রামবাংলার ভোটে বিরোধীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিকে ইস্যু করে শাসকদলের বিরুদ্ধে জনবিরোধী তকমা সেঁটে দিয়ে প্রচার চালাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আগেভাগেই দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হচ্ছেন তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্যে ডিম উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যেমন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হবে, তেমনই আরও বেশি করে মানুষের দরজায় সুফল বাংলার গাড়ি নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। শীতের মরশুমে যাতে বাজারগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়, তার জন্য স্থানীয় থানাগুলিকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হবে।