পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক, দ্বীন দুনিয়া: হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস্ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সা. ইরশাদ করেছেন : ‘যখন মুয়াজ্জিনের আযান তোমরা শোন, তখন সে যা বলে তোমরা তার অনুরূপ বল। তারপর তোমরা আমার উপর দরূদ পড়।
কেননা, আমার প্রতি যে একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ্ তার উপর এর বদলে দশবার রহমত বর্ষণ করেন। তারপর আল্লাহর কাছে তোমরা আমার জন্য ওয়াসীলা প্রার্থনা কর।
কেননা, তা জান্নাতের এমন একটি স্তর যা আল্লাহর বান্দাহ্দের একজন ব্যতীত কারও জন্য ধার্য নয়। আর আমি প্রত্যাশা করি, আমি সেই। আর যে আমার জন্য ওয়াসীলা প্রার্থনা করে, তার জন্য সুপারিশ করা অবধারিত হয়ে যায়।’ (সহীহ্ মুসলিম)
হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সা. ইরশাদ করেছেন : ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ্ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন। আর তার থেকে দশটি গুনাহ্ মার্জনা করেন এবং তার দশটি স্তর (মরতবা) বৃদ্ধি করে দেন।’ (সুনানে আবু দাউদ)
রাসূলুল্লাহ্ সা. ইরশাদ করেছেন : ‘আমার প্রত্যেক উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, শুধুমাত্র যে অসম্মত সে ব্যতীত।’ সাহাবীগণ রা. নিবেদন করলেন : ‘হে আল্লাহর রাসূল সা.! অসম্মত কে?’ তিনি (সা.) উত্তরে বললেন : ‘যে আমার আনুগত্য করেছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করেছে, আর যে আমার অবাধ্য হয়েছে সে-ই অসম্মত হয়েছে।’ (বুখারী)
রাসূলুল্লাহ্ সা. ইরশাদ করেছেন : ‘তোমাদের যে কেউ আমার প্রতি সালাম প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তখনই আমার রূহ আমাকে ফেরত দেন এবং আমি তার সালামের জওয়াব দিই।’ (সুনানে আবু দাউদ)