পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাব অনেক দিনের। কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য টালবাহানায় তা আটকে ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কেটেছে জট। সেই মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়। জমাও পড়ে আগ্রহপত্র। তখন থেকেই নাম ভাসছিল আদানি গোষ্ঠীর।
সূত্রের খবর, শীঘ্রই আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তি করবে রাজ্য সরকার। তার পরেই পরিকাঠামো-সহ বন্দরের মূল কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।
শুরুতে কিছু প্রশ্ন থাকলেও তাজপুরের গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে আশা ক্রমশ বাড়ছে প্রশাসনের অন্দরে। সূত্রের খবর,টেন্ডার-প্রক্রিয়ায় তাজপুর বন্দর গড়ার ক্ষেত্রে রাজ্য বেছে নিয়েছে আদানিদেরই। রাজ্য মন্ত্রিসভা তাদের লেটার অব ইনটেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছিল। গত ১২ অক্টোবর সরকারি বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠানে গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার করণ আদানির হাতে তা তুলেও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নিয়ম অনুযায়ী, সেই প্রক্রিয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আদানি গোষ্ঠী রাজ্যকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মতিও (অ্যাকসেপটেন্স) জানিয়েছে। এবার বাকি রয়েছে চুক্তি সম্পাদনের কাজ। তা হয়ে গেলেই পরিকাঠামো-সহ বন্দর গড়ার ব্যাপারে সমীক্ষা করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বন্দরের জন্য স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের ভিতর পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। তাতে সাধারণভাবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টন ভার বহনে সক্ষম জাহাজ বন্দরে আনা সম্ভব। বন্দর-বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কন্টেনারে আনা হয় না এমন ধরনের ‘বাল্ক-কার্গো’ নিয়ে ধামড়া বন্দরে কাজ করে আদানি গোষ্ঠী। তাজপুর বন্দরের ক্ষেত্রে হয়ত আরও বেশি কাজ সম্ভব হবে। ওড়িশার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাজারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে তাজপুরে যথেষ্টই সম্ভাবনা থাকছে।