পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জ্ঞানভাপী মসজিদ মামলায় এবার সরাসরি জড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ? এই মামলায় হিন্দুপক্ষ কি তাঁর হাতেই তুলে দিচ্ছে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি? বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘ (ভিভিএসএস) প্রধান জিতেন্দ্র সিংয়ের একটি বিবৃতি নিয়ে এই জল্পনাই জোরালো হতে শুরু করেছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছেন কিনা তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে বারাণসী পুলিশ ভিভিএসএস প্রধান জিতেন্দ্র সিংকে নোটিশ দিয়েছে। নোটিশে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, জ্ঞানভাপি সংক্রান্ত ৫টি মামলায় তিনি কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন? সংবাদপত্রে প্রকাশিত জিতেন্দ্র সিংয়ের একটি বিবৃতি উল্লেখ করে এই প্রশ্ন তুলেছে বারাণসী পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে জীতেন্দ্র দাবি করেছিলেন, ভিভিএসএস ও তার সহযোগী সংস্থাগুলি জ্ঞানভাপী নিয়ে বিভিন্ন আদালতে মামলা লড়ছে। এমন ৫টি মামলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিতে রাজি হয়েছেন কি না বা এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আগাম সম্মতি নেওয়া হয়েছিল কি না, তা জিতেন্দ্রকে স্পষ্ট করে জানাতে বলেছে পুলিশ। পুলিশ তাঁকে জবাবদিহির জন্য ৩ দিন সময় দিয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে দেখা যাচ্ছে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অনুমতি না নিয়ে এই ধরনের ঘোষণা করে জিতেন্দ্র বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। সংশয় সৃষ্টি করেছেন। নোটিশে জিতেন্দ্রকে তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ, না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিতেন্দ্র স্বীকার করেছেন যে তিনি পুলিশি নোটিশ পেয়েছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র বলেছেন, ‘এটি একটি আইনি নোটিশ। এটা আমার কাছে মোটেই বিস্ময়কর কোনও বিষয় নয়। আমি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমার উত্তর দেব।’ যদিও জিতেন্দ্র দাবি করেছিলেন, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, গো-রক্ষা বেঞ্চের মোহন্ত হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের কাছে তিনি এই মামলাগুলির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হস্তান্তর করবেন। উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর জীতেন্দ্র এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হস্তান্তরের ঘোষণা করেছিলেন। আর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অ্যাটর্নি পেপার তৈরির কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত গতিতে কাজ করে ২-৩ দিনের মধ্যে এই পেপার তৈরির কাজ শেষ করতে চান তিনি। জীতেন্দ্রর কথায়, ‘সরকারি আধিকারিকরা এখনও ‘জ্ঞানভাপী মসজিদ’ লিখছেন। জ্ঞানভাপীকে মসজিদ লেখায় আমার তীব্র আপত্তি আছে। এই কাঠামোটিকে আমরা মন্দির বলে দাবি করছি। বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারি নথিতে কীভাবে একজন অফিসার এটিকে মসজিদ হিসাবে প্রত্যয়ন করতে পারেন? আমি জ্ঞানভাপী কাঠামোকে মসজিদ হিসেবে দাবি করার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করব।’