পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গুজরাতের মোরবিতে রবিবার ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় আগামীকাল দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবার পিছু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৃতদের পরিবারকে দু’ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেন।
রবিবার মর্মান্তিক সেতু দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন রাজকোটের বিজেপি সাংসদ মোহনভাই কল্যাণজি কুন্দারিয়ার বোনের পরিবারের ১২ জন সদস্য। মৃতদের মধ্যে ৫টি শিশু রয়েছে।
রবিবার মাচ্ছু নদীর উপর ওই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলেন। আচমকাই সেতু ছিঁড়ে পড়ায় তাঁরা সকলেই নদীতে পড়ে যান। পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ব্রিটিশ আমলে শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিজটি কিছুটি আগেই কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেরামতি করা হয়। তারপর এটি পুরোপুরি ঠিক আছে বলে সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। অন্যদিকে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। গুজরাতি নববর্ষের কথা মাথায় রেখে ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয় সাধারণের জন্য গত ২৬ অক্টোবর। সরকারি টেন্ডার পেয়ে ব্রিজটি সংস্কারের কাজ করছিল ওরেভা নামক একটি কোম্পানি।
গুজরাত প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১৫ বছর ধরে মোরবির এই ঝুলন্ত সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে এই বেসরকারি সংস্থা। তবে সাত মাস বন্ধ করে সংস্কার চালানোর পর কিভাবে মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় এই বিপর্যয় ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মোরবি পুরসভার তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই এই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে সেতু সংস্কারের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা ওরেভা কোম্পানির দিকে।
অন্যদিকে সেতু বিপর্যয়ের পর জানা গিয়েছে, রবিবার শতাব্দী প্রাচীন ওই ঝুলন্ত সেতুতে ছিল মাত্রাতিরিক্ত ভিড়। এমনকী শনিবারেও বহু মানুষকে ঝুলন্ত ব্রিজে উঠে দাপাদাপি করতে দেখা যায়। তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল সারা রাত যাবত চলে উদ্ধারকাজ। তবে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে উদ্ধারকাজ অনেকাংশে ব্যাহত হয়। এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার।