বিশেষ প্রতিবেদন: বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অধীনে বিশ্বের ৩৬টি দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে চিনা কোম্পানিগুলো। আর এখানেই বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। বলা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে দেশগুলিতে চিন সহজেই গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে বা চালাতে পারে। তিব্বত প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র চিন দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও নজরদারি বাড়ানোর পায়তারা করছে। ক্রমাগত দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি সরঞ্জাম রফতানির কাজ করছে চিন। বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অধীনে থাকা দেশগুলোতে এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চিন। এসব বেশিরভাগ প্রযুক্তি ফার্ম হয় চিনের সহায়ক, না হয় চিনা কোম্পানিগুলোর নিয়োগ করা থার্ডপার্টি, যারা উন্নয়নশীল সার্বভৌম দেশগুলোর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হুমকি। কম খরচে নজরদারি প্রযুক্তিগুলো বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করছে চিন। সম্প্রতি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের ভবনের সার্ভারে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। আফ্রিকান ইউনিয়ন জুড়ে অনেক ভিডিয়ো চুরি করা হয়েছিল। চিন আফ্রিকান ইউনিয়নের ওই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। জানা যায়, সেখানে একটি বিকল্প চ্যানেল যোগ করেছিল তারা এবং ওই চ্যানেল দিয়েই স্পর্শকাতর তথ্যগুলো পাচার করা হতো। তাই বলা যায়, একটি দেশের প্রযুক্তিকে চিনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে একীভূত করা হলে তা কোনও দেশের গোপন তথ্যকে হুমকির মুখে ফেলবে। চিনের এ ধরনের স্বভাব কেবল উদ্বেগজনকই নয়, অন্যান্য দেশগুলোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। এমনই মত বিশ্লেষকদের।