পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হলেই কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি, দায় চাপায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ওপর। তাদের অভিযোগ শুনে মনে হতে পারে বিরোধী বেঞ্চে রয়েছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি, আর শাসক দল বুঝি নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। তা না হলে আজকের দিনে এমন করে নেহরুকে দায়ী করার সংগত কারণ কী হতে পারে, মাথা চুলকে তা বের করা কঠিন। স্বয়ং মোদি বহুবার তাঁর আপন শাসনকালে নেহরুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এবার মোদির পদাঙ্ক অনুসরণ করে নেহরুকে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
শোপিয়ানে যেসব পরিবার নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হামলার পরেও ভিটেমাটি ছাড়েননি, তাঁরাও এখন উপত্যকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এর দায় কিরেণ রিজিজু নেহরুর উপর চাপিয়ে মোদি সরকারকে ক্লিনচিট দিতে চেষ্টা করেন।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশা নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি মোদি সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, ‘এই বছরেই কাশ্মীরে বেছে বেছে ৩০ জনকে খুন করা হয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন। সেই ঘটনা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। ইউপিএ সরকার যেসব ভালো কাজ করেছেন তা নষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বহু বড় বড় কথা বলতেন। এখন তিনি কেবল ক্ষমতা ভোগ করছেন। আর কাশ্মীরি পণ্ডিতরা নিজেদেরই দেশে শরণার্থী হয়ে রয়েছেন।’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পাঁচটি ভুলের জন্য ভারতের এই অবস্থা। সেই কারণেই কাশ্মীর সমস্যা তৈরি হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই ভুল সংশোধনের চেষ্টা করেছেন। দাবি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর। কেবল রিজিজু নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও দাবি করেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ার পর কাশ্মীরে হিংসা কমেছে। এর জবাবে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, ১৯৮৯-এ বিজেপি সমর্থিত ভি পি সিংহ সরকারের সময় প্রথম কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়তে হয়েছিল। এখন বিজেপির আমলে ফের তাঁদের ঘর ছাড়তে হচ্ছে।