পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ভারত তার বৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। কলকাতা দেখিয়েছে স্ত্রীর মৃত্যুতে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে হাসপাতালের ৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিতে পারেন একজন স্বামী। হায়দরাবাদ দেখিয়েছে, নিজের কথা না ভেবে গিজারে বিদ্যুতস্পৃষ্ট স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে মরতে পারে সদ্য তরুণ স্বামী। আর কানপুরে এক যুবক দেখালো স্ত্রী আত্মহত্যা করার সময় তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো রেকর্ড করতে পারে স্বামী।
কানপুরের গুলমোহর নগরের বাসিন্দা সঞ্জীব গুপ্তার নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার ঘটনা শুনে হতবাক এলাকার মানুষজন। ৪ বছর আগে কানপুরের কিদওয়াই নগরের বাসিন্দা রাজ কিশোর গুপ্তা তাঁর মেয়ে শোভিতা গুপ্তার বিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জীবের সঙ্গে। মঙ্গলবার দুপুরে শোভিতা যখন নিজের ঘরের ফ্যানে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হন, তখন তাঁর স্বামী সঞ্জীব ওই দৃশ্যের ভিডিয়ো করছিলেন ভাবলেশহীন হয়ে। শোভিতার ফাঁস লাগানোর পরও সঞ্জীব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।
শোভিতার পরিবারকে ফোন করে সে জানায় যে শোভিতা আত্মহত্যা করেছে। শোভিতার বাবা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পৌঁছে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। শোভিতার বাবা রাজকিশোর জানিয়েছেন, তারা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেখেন, শোভিতার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। সঞ্জীব তাঁর বুকে পাম্প করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
মৃতার পরিবার যখন জানতে চায়, কিভাবে তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, তখন সঞ্জীব তাদেরকে আত্মহত্যার ভিডিয়ো দেখায়। সঞ্জীব দাবি করে যে শোভিতা যখন আত্মহত্যা করছিল, তখন সে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। ওই ভিডিয়োর একটি অংশে দেখা যায়, স্ত্রী যখন আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন, তখন সঞ্জীব তাকে বলেছে, ‘তুমি এটাই করবে, তোমার ভাবনা চিন্তা এমনই’। এই ঘটনায় শোকাহত শোভিতার পরিবার স্থানীয় হনুমন্ত বিহার থানায় মামলা দায়ের করেছে। শোভিতার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাটিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা শোনার পর থেকে বাকরুদ্ধ শোভিতার পরিবার সহ কানপুরের মানুষজন।