পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের সাধারণ মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়চালু করেছিলেন ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প। যদিও প্রথম থেকে কিছু অভিযোগ উঠেছিল, তার পরও প্রকল্প যে সফল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রকল্প চালুর পর থেকে এই খাতে রাজ্যের খরচ বাড়তে থাকে।
তাতেও পিছিয়ে যাননি মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের এখনও ৬ বছর পূরণ হয়নি। তারই মধ্যে রাজ্যবাসীকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে রেকর্ড গড়ল ‘স্বাস্থ্যসাথী’।
রাজ্যের প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে সরাসরি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাঁচ হাজার কোটি টাকার মধ্যে শেষ দুবছরে রাজ্য মিটিয়েছে প্রায় তিন হাজার ছশো কোটি টাকা। প্রথম তিন বছরের খরচ এক হাজার পাঁচশো কোটি টাকা। এ রাজ্যে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালগুলি টাকা না পাওয়ার যে অভিযোগ প্রায়ই তুলছিল, স্বাস্থ্যসাথীর এই হিসেবে তাও নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো চিকিৎসা খরচ খাতে ক্লেমের প্রায় ৯৫ শতাংশ টাকাই রাজ্য মিটিয়ে দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। প্রকল্প শুরুর পর ২০২১-২২ সালে, শুধু এক বছরেই এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দু’হাজার দুশো কোটি টাকা মেটায় রাজ্য। এ বছর এখনও পর্যন্ত মেটানো হয়েছে এক হাজার চারশো কোটি টাকা।
সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলি যে গত কয়েক মাস ধরে অভিযোগ তুলছে, স্বাস্থ্যসাথীর টাকা পাওয়া যাচ্ছে না, এবং হাসপাতালগুলির নিজেদের রোজকার খরচ সামলাতে পারছে না। এ নিয়ে দফতরের এক সূত্র বলছে, এই প্রকল্পে চিকিৎসা বাবদ সরকারি হাসপাতালগুলির প্রাপ্য আড়াইশো কোটি টাকা এখনও মেটানো হয়নি।
স্বাস্থ্য দফতরের যুক্তি হল, সরকারি হাসপাতাল ও কলেজগুলিতে মেডিক্যাল চালানোর পরিষেবা ও যাবতীয় খরচ রাজ্য বাজেট থেকে নিয়ম মাফিক মেটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথীর বকেয়া টাকা না পেলে তাদের বিরাট কোনও ক্ষতি নেই। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রকল্প যেমন চলছে তেমনই চলবে।