পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আধুল্লাহিয়ান বলেছেন, মার্কিনিরা মুখে এক ধরনের কথা বলে এবং বাস্তবে ভিন্ন কাজ করে। শনিবার আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে ইরানি ইন্টারন্যাশনাল ßুñল পরিদর্শন ও প্রবাসী ইরানিদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন আধুল্লাহিয়ান। ইরানের ব্যাপারে আমেরিকার নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, মার্কিনিরা একদিকে ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতি সমর্থন জানাবে এবং অন্যদিকে তেহরানের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবে- এটা হতে পারে না। ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগে বিশ্ব সঠিক তথ্য জানতে চায়। মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা বলবেন যে, তারা ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান। অন্যদিকে মিডিয়ার সামনে আরেকজন কর্মকর্তা বলবেন, আলোচনা তাদের অগ্রাধিকার নয় বরং ইরানি দাঙ্গাবাজরা কী করে সেটা দেখতেই তারা উদগ্রীব। ইরানি বিদেশমন্ত্রী বলেন, এভাবেই আমেরিকার ভণ্ডামি ও প্রতারণার স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। আধুল্লাহিয়ান আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে বলেন, তার দেশ যেকোনও সীমান্তে উত্তেজনা ও যুদ্ধের বিরোধী। বিশেষ করে এ ধরনের সংঘাতে পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী ইরান। তিনি আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিগত এক বছরে ইরানের রফতানি আয় শতকরা ৪০ ভাগ বেড়েছে। এর মধ্যে তেল বহির্ভূত পণ্যের রফতানি বেড়েছে শতকরা ১৩ ভাগ। রাইসি ইরানের জাতীয় রফতানি দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার যুদ্ধে সামনের সারির যোদ্ধা হচ্ছেন উৎপাদক ও রফতানিকারকরা। তাদেরকে যুদ্ধজয়ের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। রাইসি বলেন, ইরানকে একটি রফতানিকারক দেশ থেকে শুধুমাত্র ভোক্তা দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে এদেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিগত বছরে রফতানি ৪০ু বৃদ্ধি পেয়েছে।