পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত। শনি ও রবিবার ইউক্রেনের আরও কয়েকটি পাওয়ার গ্রিডে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পাওয়ার গ্রিডে হামলার কারণে ইউক্রেনের ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ অন্ধকারে রয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ভয়াবহ রুশ হামলা হয়েছে। এই হামলার পরিসর বিস্তৃত। পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে এই হামলা হয়েছে। জেলেনস্কি স্বীকার করেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলিকে শতভাগ ভূপাতিত করার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা কিয়েভের নেই। শনিবার ইউক্রেন বাহিনী রাশিয়ার ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০টিরও বেশি শহিদ-১৩৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে অসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রুশ-সমর্থিত নেতারা। শনিবার আঞ্চলিক প্রশাসন জানায়, নাগরিকদের খেরসন শহর ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলা ও পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয় ওই বার্তায়।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর থেকে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ধ্বংসাত্মক হামলা শুরু করেছে। এসব হামলায় ইউক্রেনের ৪০ শতাংশ পাওয়ার গ্রিড ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কিরিলো টিমোশেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের কিছু অংশ সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শহরের এক কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের রাজধানীকে ‘বেশ কয়েক দিন বা সপ্তাহ’ বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ছাড়াই চলতে হতে পারে। অন্তত ১৫ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটিতে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আরও এক সহযোগী মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, মস্কো এই হামলার মাধ্যমে ইউরোপে উদ্বাস্তুদের নতুন ঢেউ তৈরি করতে চায়। মস্কো জ্বালানি অবকাঠামোকে টার্গেট করার কথা স্বীকার করলেও অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছে।